জায়েদ-অপুর গোপন মেলামেশার কারণেই তালাক দিয়েছেন শাকিব!

বাংলা সিনেমার সালমান শাহ-শাবনূর পরবর্তী সবচে সফল জুটির নাম শাকিব খান ও অপু বিশ্বাস। ধর্মান্তরিত হয়ে গোপনে বিয়ে করা, সন্তানসহ মিডিয়াতে অপুর উপস্থিতি, শাকিবকে না জানিয়ে সন্তান আব্রাম খান জয়কে ঢাকায় রেখে বিদেশে চলে যাওয়া এবং নানা কারণে দুজনের তালাকও হয়ে গেছে। যদিও তালাকের পরও কলকাতায় এক হোটেলেই রাত কাটিয়েছেন শাকিব ও অপু। তারকা এ দপ্ততির বিচ্ছেদ কোনো ভক্তই সহজভাবে মেনে নিতে পারেনি। কেন তাদের সংসার ভেঙেছে। শুধু কি অপুর ভুল, অথবা শাকিবের অন্য নায়িকাতে আসক্তি নাকি অন্য কিছু? এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে বেরিয়ে এসেছে আরো চাঞ্চল্যকর তথ্য। যা শুনলে ভক্তদের হৃদয় কেঁপে উঠবে।

ভোরের পাতার অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে, বাংলা সিনেমার নাম্বার ওয়ান নায়ক শাকিব খানের প্রতিপক্ষ এবং কম জনপ্রিয় প্রভাবশালী নায়ক জায়েদ খানের সঙ্গে অপু বিশ্বাসের অনৈতিক সম্পর্কের কারণেই অপুকে তালাক দিয়েছেন শাকিব খান। নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানিয়েছে, অপু বিশ্বাসকে দিয়ে শাকিব খানের ক্যারিয়ার ধ্বংস করার পাঁয়তারা করেছিল জায়েদ খান। আর অর্থলোভী অপু বিশ্বাসও সেই টোপ গিলেছিলেন। জায়েদের সঙ্গে তার অন্যরকম গোপন মেলামেশার কারণ বুঝতে পারার পরেই তালাকের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন শাকিব খান।

শেষ পর্যন্ত ভেঙেই গেল শাকিব খান ও অপু বিশ্বাসের সংসার। আইন অনুযায়ী ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে আর স্বামী-স্ত্রী নন তারা। গেল বছরের ২২ নভেম্বর অপু বিশ্বাসকে আইনজীবী শেখ সিরাজুল ইসলামের মাধ্যমে তালাক নোটিশ পাঠান শাকিব খান। ওইদিন থেকে আইন অনুযায়ী তিনমাস অর্থাৎ ৯০ দিন সময় ছিল এই তালাক কার্যকর হতে।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনও সমঝোতা বৈঠকের আয়োজন করেছিল। কিন্তু তাতে কাজ হয়নি। অপু এগিয়ে এলেও উপস্থিত ছিলেন না শাকিব। তাই তাদের এক করা যায়নি। হিসাব অনুযায়ী ডিভোর্স লেটার পাঠানোর তিন মাস পূর্ণ হওয়ায় তাদের আনুষ্ঠানিক বিচ্ছেদ ঘটছে। তালাকের পর বিয়ের দেনমোহর বাবদ সাত লাখ টাকা অপুকে পরিশোধ করবেন শাকিব খান। এ ছাড়া তিনি একমাত্র সন্তান আব্রাম খান জয়ের ভরণপোষণ করবেন।

২০০৮ সালের ১৮ই এপ্রিল বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হন ঢাকাই ছবির হিট জুটি শাকিব খান ও অপু বিশ্বাস। ২০১৬ সালের ২৭শে সেপ্টেম্বর জন্ম হয় তাদের সন্তান আব্রাম খান জয়ের। দীর্ঘদিন এসব খবর অপ্রকাশিত থাকে। গত বছরের এপ্রিলে একটি টিভি চ্যানেলের লাইভে এসে বিয়ের খবর ফাঁস করেন অপু বিশ্বাস। সন্তানকেও সবার সামনে নিয়ে আসেন সে সময়। এরপর অবশ্য বেশ কিছুদিন শাকিব ও অপুকে একসঙ্গে দেখা গেছে। তবে বেশি দিন তারা এক থাকেননি। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মতবিরোধ তৈরি হয় দুজনের।

সেসব মিডিয়াতে নিয়মিতই প্রকাশ পায়। তারই পরিপ্রেক্ষিতে শাকিব খান তিন মাস আগে ডিভোর্স নোটিশ পাঠান অপুর কাছে। এরপর অপু বিভিন্নভাবে চেষ্টা করেছেন সংসার টিকিয়ে রাখতে। কিন্তু সেটা হয়নি। কারণ শাকিব চাননি সংসার আর টিকিয়ে রাখতে। শেষ পর্যন্ত অপুও জানিয়েছেন তিনি ডিভোর্স মেনে নিয়েছেন। এমনকি শাকিবকে নিয়ে নানা মন্তব্যও করেছেন তিনি। যদিও সেসব মন্তব্যের বিপরীতে শাকিব কোনো কথাই বলেননি।- ভোরের পাতা