ডিএনএ টেস্টের জন্য কাঠমান্ডুর পথে বাংলাদেশের চিকিৎসক দল

নেপালে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিমান বিধ্বস্ত হয়ে নিহতদের ডিএনএর নমুনা সংগ্রহের জন্য বাংলাদেশের আট সদস্যের একটি চিকিৎসক দল কাঠমান্ডুর পথে রওনা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি-৭১ ফ্লাইটে দলটি ঢাকা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের সমন্বয়ক ডা. সামন্তলাল সেন জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে বাংলাদেশ থেকে একটি চিকিৎসক দল নেপালে যাচ্ছে।

বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় আহত হয়ে চিকিৎসাধীন রোগীদের দেখতে এবং তাঁদের চিকিৎসার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে দলটি সেখানে যাচ্ছে।

চিকিৎসক দলে হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহামুদ, বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের সহযোগী অধ্যাপক ডা. লুৎফর কাদের লেলিন, ডা. হোসেন ইমাম, ডা. মনসুর রহমান, জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতালের (পঙ্গু হাসপাতাল) ডা. মুশফিকুর রহমান লিটন, ডা. রিয়াদ মজিদ, ঢামেক হাসপাতালের ফেরদৌস রহমান ও ডা. আবদুল্লাহ আল মামুন। চিকিৎসকদের পাশাপাশি সেখানে সিআইডির দুজন সদস্যও থাকবেন। তাঁরা হলেন এডিশনাল সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশ (ক্রাইম সিন, সিআইডি) আবদুস সালাম ও অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিএনএ স্পেশালিস্ট (সিআইডি) আশরাফুল আলম।

ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহামুদ জানান, নেপালে প্লেন দুর্ঘটনায় নিহতদের ময়নাতদন্তের সময় মৃতদেহগুলোর অবস্থা বুঝে কোথা থেকে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হবে, তা তখন সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এ জন্য বাংলাদেশ থেকে যন্ত্রপাতি সংগ্রহ করে নেওয়া হচ্ছে। সবকিছু ঠিক থাকলে একদিনেই মৃতদেহগুলোর ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ নমুনা সংগ্রহের কাজ শেষ করা হবে।

গত সোমবার দুপুরে ৭১ যাত্রী নিয়ে নেপালের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়ে ইউএস-বাংলার ড্যাশ এইট কিউ ফোর হানড্রেড মডেলের বিমানটি। কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। সঙ্গে সঙ্গে রানওয়ে থেকে ছিটকে বিমানটি পাশের খালি মাঠে গিয়ে পড়ে। দুই ইঞ্জিনের বিমানটি ভেঙে কয়েক টুকরো হয়ে পড়ে। বিমান বিধ্বস্তের ওই ঘটনায় ৫০ জনের বেশি ব্যক্তির প্রাণহানি ঘটে।