দুই ছক্কায় আশরাফুলকে ছাপিয়ে দিলেন অনীক

ছয় মেরে খেলা শেষ করাটা এত দ্রুত বাংলাদেশের ক্রিকেটে এভাবে ফিরে আসবে, কে জানত? জয়ের জন্য মোহামেডানের শেষ ওভারে দরকার ১০ রান, ক্রিজে কাজী অনীক। অন্য পাশে তাইজুল ইসলামের রান হয়ে গেছে ৩৪, স্ট্রাইকটা তাকেই হয়তো দিতে পারতেন। কিন্তু অনীক নাবিল সামাদের বলে পর পর দুই ছয়ে নিজেই ম্যাচটা শেষ করে দিলেন। ২৬১ রান তাড়া করে ৪ বল হাতে রেখেই ২ উইকেটের রুদ্ধশ্বাস জয় এনে দিলেন মোহামেডানকে।

দিন শেষে জয়টা মোহামেডানের জন্য শুধু সান্ত্বনাই হয়ে থাকবে। নিজেরা শুধু জয় পেলে হতো না, শেখ জামালের হারটাও দরকার ছিল সুপার সিক্সের জন্য। কিন্তু সেটা আর হয়নি। অন্যদিকে মোহাম্মদ আশরাফুলের সেঞ্চুরিও জেতাতে পারল না কলাবাগানকে, অবনমনও নিশ্চিত হয়ে গেছে তাদের।

অথচ আশরাফুল তাদের আশাই দেখাচ্ছিলেন। বলতে গেলে একাই লড়ে গেছেন কলাবাগানের হয়ে। দ্বিতীয় উইকেটে ওয়ালিউল করিমকে নিয়ে গড়েছিলেন ৮৫ রানের জুটি। এরপর মাহমুদুল হাসানের সঙ্গে আরেকটি ৮২ রানের জুটিতে পথ দেখিয়েছেন। ফিফটির জন্য নিয়েছিলেন ৭১ বল, সেঞ্চুরিটা এসেছে আরেকটু তাড়াতাড়ি। ১১২ বলে পেয়েছেন এবারের লিগে নিজের তৃতীয় সেঞ্চুরি। এরপরেই রানের চাকাটা বাড়িয়েছিলেন, পরের ১২ বলে করেছিলেন ৭ রান। সেভাবে কাউকে না পেলেও একাই লড়ে গেছেন, ১২৪ বলে ১২৭ রান করে আউট হওয়ার আগে ১৩টি চারের পাশাপাশি মেরেছেন তিনটি ছয়।

কিন্তু আশরাফুলের আউটের পরেই যেন মড়ক লাগে, শেষ পর্যন্ত ৪৭.৫ ওভারেই অলআউট হয়ে গেছে ২৬০ রানে। কাজী অনীক ছিলেন মূল আততায়ী, লিস্ট ‘এ’ ক্যারিয়ারের সেরা বোলিংয়ে ৪৯ রানে ৬ উইকেট পেয়েছেন এই বাঁহাতি পেসার।