ধর্ষণের বদলে ধর্ষণ এ কেমন প্রথা

এ কেমন আজব নিয়ম।ধর্ষণের শাস্তিস্বরূপ নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যকে ধর্ষণের সুযোগ দিল ধর্ষকের পরিবার। নজিরবিহীন ঘটনার সাক্ষী থাকল গোটা পাকিস্তান।

চলতি মাসের ২০ তারিখ লাহৌরের পঞ্জাব থেকে ২৭৫ কিলোমিটার দূরে, তোবা টেক সিংহ এলাকায় ঘটেছে এই ঘটনাটি। ধর্ষকের নাম ওয়াশিম সইদ। ওই এলাকার ১৬ বছরের একটি মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ওই যুবকের উপর, এমনই প্রকাশ পেয়েছে এক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে।

ওয়াশিমকে হাতেনাতে ধরতে পেরে তাঁকে মেরে ফেলার হুকুম দেন এলাকার বাসিন্দারা। ঠিক তখনই, ছেলের প্রাণ ভিক্ষা করে নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে একটি চুক্তি করেন ওয়াশিমের পরিবার। শর্ত ছিল, নির্যাতিতার পরিবারের একজন সদস্য ওয়াশিমের পরিবারের কোনও এক মহিলাকে ধর্ষণের সুযোগ পাবেন। এর বদলে ওয়াশিমের শাস্তি মুকুব করা হবে
চুক্তি অনুযায়ী, সইদ পরিবারের এক চল্লিশোর্ধ্ব মহিলাকে ধর্ষণ করেন নির্যাতিতার দাদা। এমনকী, ঘটনার প্রমাণস্বরূপ একটি চুক্তিপত্রে সাক্ষরও করেন উভয় পরিবারের প্রায় ১০ থেকে ১২ জন সদস্য।

ঘটনার খবর স্থানীয় পুলিশ অফিসার নায়িম ইউসুফের কানে পৌঁছলে চুক্তিপত্রে সাক্ষর করা সমস্ত অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেন তিনি। তবে এখনও পর্যন্ত অভিযুক্তদের কোনও চরম শাস্তির হুকুম দেয়নি সে দেশের আদালত।

এই বিষয়ে থানার মুখ্য পুলিশ আধিকারিক আবদুল মাজিদ জানিয়েছেন যে, ধর্ষণ মামলাকে ধামাচাপা দিতে প্রায়শই এই ধরনের সমঝোতা হয়ে থাকে দুই পরিবারের মধ্যে। অনেক দশক ধরে এই প্রথা চলে এসেছে পাকিস্তানে। ‘জিরগা’ বা গ্রামের প্রৌঢ়দের নিয়ে গঠিত সমিতির সদস্যরা প্রায়শই দুই পরিবারের সম্মান বাঁচানোর জন্য এই পন্থা অবলম্বন করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।