নাইটি পড়ায় নিষেদাজ্ঞা, কারন জানলে অবাক হবেন

নাইটি পরায় নিষেধাজ্ঞা! না আফগানিস্তানের কোনও তালিবানি শাসিত এলাকার ঘটনা নয়। এমনই আজব ফতোয়া দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে ভারতের বাণিজ্য নগরী মুম্বইয়ের অদূরে নভি মুম্বইয়ের গথিভালীতে।

গথিভালীকে ঠিক গ্রাম বললে ভুল বলা হবে। অনেক আগেই আধুনিকতা ছোঁয়া লেগেছে এই গ্রামে। ইন্টারনেট, স্মার্টফোন, কমপিউটার, ডেস্কটপ-সবই পৌঁছেছে এই গ্রামে। তবুও এখানে মহিলাদের নাইটি পরার উপর ফতোয়া জারি করেছে ‘ইন্দ্রয়ানী মহিলা মণ্ডল’ নামে গ্রামেরই এক মহিলা সমিতি। পাশাপাশি নাইটি পরলে জরিমানাও ধার্য করা হয়েছে।

কিন্তু কেন এই ফতোয়া? কারণটা জানলে রীতিমতো হতবাক হতে হবে। নাইটি পরলে নাকি মেয়েদের আরও কামোত্তেজক বা এক কথায় আরও সেক্সি লাগে। ফলে সহজেই প্রলুব্ধ হতে পারে পুরুষ। আর ধর্ষিতা হতে পারেন নাইটি পরিহিতা মহিলা! ‘ইন্দ্রয়ানী মহিলা মণ্ডল’-এর সদস্যদের বক্তব্য, চারপাশে যে হারে ধর্ষণ আর মেয়েদের উত্যক্ত করার ঘটনা বেড়ে যাচ্ছে, তা দেখে আতঙ্কিত হয়েই নাইটির উপর এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

আরও হুলিয়া জারি করা হয়েছে। মহিলারা কেউ রাত্রে নাইটি পরতে পারবেন না। আর নাইটি পরে কোনওভাবেই বাইরে বেরনো চলবে না। আর রাত্রে যদি ভুলবশত কেউ নাইটি পরে বাইরে বের হন তাহলে তাঁকে ৫০০ টাকা জরিমানা দিতে হবে। সমিতির বক্তব্য, বাইরে এ ধরনের পোশাক পরে বের হলে মহিলাদের উপর হামলার আশঙ্কা অনেকটাই বেড়ে যায়। তাছাড়া নাইটি বা ম্যাক্সি পরে বেরনোটা খুব একটা শোভনীয়ও নয়।

কিন্তু মহিলা সমিতির এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন গ্রামেরই মহিলারা। সেকারণে সমিতির সদস্যদের সঙ্গে গ্রামের মহিলার বাকবিতণ্ডা মেটাতে অবশেষে হস্তক্ষেপ করতে হয় পুলিশকেও। পুলিশের বক্তব্য, “কোনও গ্রাম পঞ্চায়েত বা সমিতি এভাবে কোনও কিছুর উপর আইনত নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারে না। আমরা মহিলা সমিতির সঙ্গে কথা বলে ব্যাপারটা তাঁদের বুঝিয়েছি এবং গ্রামের নোটিস বোর্ড থেকে নোটিসটা খুলেও ফেলেছি।”