না ফেরার দেশে চলে গেলেন শাহীন

গত ১৮ মার্চ বিকেলে বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে করে শাহীন ব্যাপারীকে দেশে আনা হয়। নেপালের কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন বিমানবন্দরে ইউএস-বাংলার উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় আহত শাহীন ব্যাপারী। এরপর থেকে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন ছিলেন ।

আজ আহত শাহীন ব্যাপারী মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি… রাজিউন)। আজ সোমবার বিকেল পৌনে ৫টার দিকে তার মৃত্যুর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন চিকিৎসকরা। তিনি ঢাকা মেডিকেল (ঢামেক) কলেজ হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

নেপালের কাঠমাণ্ডুতে প্রথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছিল শাহীন ব্যাপারীকে। তখন জানানো হয়েছিল, তার শরীরের ১৬ শতাংশ পুড়ে গেছে। কিন্তু তাকে ঢাকায় নিয়ে আসা হলে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিট অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের সমন্বয়ক অধ্যাপক ডা. সামন্ত লাল সেন।

অধ্যাপক ডা. সামন্ত লাল সেন গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, তার ক্ষতের পরিমাণ ধারণার চেয়ে দ্বিগুণ। আহত যে কয়জনকে বাংলাদেশে আনা হয়েছে, তাদের মধ্যে শাহীন ব্যাপারীর অবস্থাই সবচেয়ে গুরুতর।

রোববার ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে শাহীনের দ্বিতীয় দফা অস্ত্রোপচার হয়েছিল। সোমবার অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়।

৪২ বছর বয়সী শাহীন ব্যাপারী বাংলাদেশ শান্তি সংঘের সদস্য এবং পুরান ঢাকার সদরঘাট এলাকার বিক্রমপুর গার্ডেন সিটিতে মেসার্স করিম অ্যান্ড সন্স নামের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার কলমা ইউনিয়নের বান্দেগাঁও গ্রামের মৃত সাইফুল ইসলামের ছেলে শাহীন বেপারী। স্ত্রী-কন্যা নিয়ে তিনি নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে বসবাস করতেন। তিনি নেপালে বেড়াতে গিয়েছিলেন।