নিদাহাস ট্রফির ফাইনাল নিয়ে বাজি ধরা, এরপরে মিথ্যা খুন হওয়ার ভিডিও

নিদাহাস ট্রফির ফাইনালে বাংলাদেশের পক্ষে দেড় লাখ টাকা বাজি ধরেছিল আদল নামে এক তরুণ। কিন্তু বাজিতে হেরে গিয়ে পড়ে বিপাকে। যাতে ওই টাকা দিতে না হয় সেজন্য তৈরি করে মিথ্যা খুন হওয়ার ভিডিও। আর এতে সহায়তা করে তার এক বন্ধু। শুধু তাই নয় ওই ভিডিও পাঠানো হয় পরিবারের কাছে। ছড়িয়ে দেয়া হয় ফেসবুকে। এমন অভিনব ঘটনা ঘটেছে রাজধানীর বেগুনবাড়ি এলাকায়। এরইমধ্যে ওই দুই তরুণকে আটক করেছে পুলিশ।

ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, বদ্ধ একটি ঘরে আদল নামে একজনের হাত পা বাঁধা হচ্ছে। জোরাজুরি করছে অল্পবয়সী ব্যক্তিটি। এরপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কাটা হয় তার। গলগল করে বের হয় রক্ত। পুরো প্রক্রিয়াটি ধারণ করা হয় মোবাইল ফোনে। তোলা হয় ছবি। ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার রাজধানীর বেগুনবাড়ি এলাকায়।
এরপর ভিডিওটি ছড়িয়ে দেয়া হয় ফেসবুকে। পাঠানো হয় আদলের পরিবারের কাছে। পুলিশকে জানানো হয় মরদেহ আছে চট্টগ্রামে।
ভিডিওটি দেখার পর আদলের পরিবার যোগাযোগ করে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায়। পরবর্তীতে পুলিশ, ইমরান নামে একজনকে আটক করে। যে আদলের গলায় ছুরি চালিয়েছিলো। তার কাছ থেকেই পুলিশ জানতে পারে ভিডিওটি ছিলো বানানো।
কারণ হিসেবে আদল জানায়, সম্প্রতি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল খেলায় বাংলাদেশের পক্ষে দেড় লাখ টাকা বাজি ধরে সে। কিন্তু বাজিতে হেরে যাওয়ায় সে এই ভিডিওটি তৈরি করে। উদ্দেশ্য ছিল, যাদের কাছে বাজিতে সে হেরেছে তাদের কাছে ভিডিওটি পাঠানো, যাতে বাজির টাকা দিতে না হয়। আর এই ভিডিও তৈরিতে সহায়তা করে ইমরান। এরইমধ্যে আদলকে ফরিদপুর থেকে আটক করে ঢাকায় নিয়ে এসেছে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।