নেপালে ছেলের মরদেহ আনতে যেতে পারলেন না বাবার

গত সোমবার স্থানীয় সময় বেলা ২টা ২০ মিনিটে অবতরণের থাকলেও তার আগেই বিমান্টি বিধ্বস্ত হয়ে মাটিতে পড়ে বিমানবন্দরের পাশের একটি খেলার মাঠে । বিমানটিতে চারজন ক্রু ও ৬৭ যাত্রী ছিল। উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় ২৬ বাংলাদেশিসহ ৫০ জন নিহত হন। আহত হয়ে হাসপাতালে রয়েছেন ৯ বাংলাদেশিসহ ২১ জন। একসাথে বিদেশের মাটিতে এত মানুষ আর আগে কোন দুর্ঘটনায় মারা যায়নি।আগামি কাল রাষ্ট্রীয় শোক পালন করা হবে নিহতদের উদ্দেশ্যে।

এদেন মধে একজন ভ্রমণ পিপাসু ডা. পিয়াস রায়। ভ্রমণের নেশায় তিনিও গিয়েছিলেন নেপালে। আর নেপাল যেতে ইউএস বাংলার ড্যাশ-৮ কিউ-৪০০ উড়োজাহাজে চড়েছিলেন। কিন্তু কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের আগেই উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয়ে তিনি মারা যান।

ইউএস-বাংলার পক্ষ থেকে এ ঘটনার পর ওই ফ্লাইটে নিহতদের পরিবারের স্বজনদের নেপালে নেয়ার সুযোগ করে দেয় বেসরকারি এ বিমান সংস্থাটি। তবে পাসপোর্টের অভাবে ছেলের মরদেহ আনতে নেপাল যেতে পারেননি পিয়াসের বাবা সুখেন্দু রায়। এমনকি আত্মীয় স্বজন কাউকেও পাঠাতে পারেননি তিনি।

বুধবার সুখেন্দু রায় বারিধারার ইউএস বাংলা কার্যালয়ে এসে নেপালে যাওয়ার বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছিলেন।

সেখানে সুখেন্দু রায়বলেন, সংবাদ মাধ্যম থেকে আমরা জানতে পারি স্বজনদের নেপাল নিয়ে যাওয়া হবে। তাই আমার এক আত্মীয়কে এখানে পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু তার পাসপোর্ট না থাকায় তাকে নেয়া হয়নি। আমার একটি পাসপোর্ট ছিল, তারও মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। আমরা কি করতে পারি তা জানতে এখানে এসেছি। নেপালে যেতে হলে কি করতে হবে তা জানতে এসেছি।

কান্না জড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, অনেক আশা নিয়ে ওকে (পিয়াস) মেডিকেলে ভর্তি করি। এখন সব স্বপ্ন শেষ হয়ে গেলো। গেলো ৫ মার্চ তার ফাইনাল পরীক্ষা শেষ হয়। এরপর ঘুরতে নেপালের উদ্দেশ্য রওনা হয়।