প্রেমিকার মেয়েকে ধর্ষণ করল মায়ের প্রেমিক

মায়ের কাছেই নিজেকে সবচেয়ে নিরাপদ বলে মনে করে সন্তান। কিন্তু সেই মা যখন মেয়েকে ধর্ষিতা হতে মদত দেয়, তখন সত্যিই সেই মায়ের বর্ণনার কোনও ভাষা হয় না। তেমন মায়ের ঘরে জন্ম নিয়েই ইজ্জত খোয়াতে হল অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীকে। তাও আবার সেই মায়েরই প্রেমিকের হাতে ধর্ষিতা হল কিশোরী।

এমন ঘটনা ঘটেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বহরমপুরের হরিহরপাড়ায়। অভিযোগ, ভয় দেখিয়ে দিনের পর দিন ধর্ষণ করা হয়েছে তাকে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে হরিহরপাড়া থানার পুলিশ। ধর্ষণের ঘটনায় মদত দেওয়ার কারণে ছাত্রীর মাকেও গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বহরমপুরের হরিহরপাড়া থানার রেজলা পাড়ায়।

হরিহরপাড়া থানার রেজলা পাড়ার গ্রামের আনোয়ার আনসারি নামে এক ফেরিওয়ালা পাড়ারই এক গৃহবধূর সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। কর্মসূত্রে স্বামী বাইরে থাকায় দীর্ঘ চার বছর ধরে ফিরোজা বিবির সঙ্গে বিবাহ-বর্হিভূত সম্পর্ক চালিয়ে যাওয়ার পর তাঁর ১৫ বছরের কিশোরী মেয়েকে গত দু’মাস ধরে ধর্ষণ করে আসছে বলে অভিযোগ। পাশাপাশি নির্যাতিতার এও অভিযোগ, ভয় দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ করা হত এবং এই কাজে মদত দিত তার মা। এমনকী ছাত্রীটিকে মারধর করে ওই ব্যক্তির কাছে যেতে বাধ্য করত তাঁর মা। শুধু তাই নয়, ছাত্রীটিকে ধর্ষণ করার পর প্রাণে মারার হুমকিও দিত অভিযুক্ত আনসারি।

এ বিষয়ে কিশোরী জানিয়েছে, তাঁর হাতের অনেক অংশ কেটে দিয়েছে আনসারি। তার বাবা বাড়িতে না থাকায় গত দু’মাস ধরে দিনের পর দিন তাঁকে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে। এত অত্যাচার আর সহ্য করতে না পেরে নিজের আত্মীয়র শরণাপন্ন হয় সে। এরপর তাঁদের সাহায্যেই শুক্রবার দুপুরে হরিহরপাড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করে সে। অভিযোগ পেয়ে হরিহরপাড়া থানার পুলিশ ছাত্রীর মা ফিরোজা বিবিকে বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে। এদিকে এদিন সন্ধ্যায় ডোমকল থানা এলাকা থেকে অভিযুক্ত আনসারিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। দু’জনেরই কঠোর শাস্তির দাবি তুলেছে নির্যাতিতা। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

হরিহরপাড়া থানার ওসি কার্ত্তিক মাঝি জানিয়েছেন, ছাত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁর মা ও আনোয়ার আনসারিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার তাঁদের বহরমপুর আদালতে তোলা হবে।