ফাইনালের নায়ক হয়েও আলোচনার বাইরে যিনি

নিদাহাস ট্রফিতে ফাইনালে টানটান উত্তেজনা ভরা ম্যাচে শেষ পর্যন্ত ভারতের কাছে বাংলাদেশ হেরেছে চার উইকেটে। টসে হেরে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় ভারতীয় অধিনায়ক রহিত শর্মা। ভালোই সূচনা করেছিলো দুই ওপেনার তামিম-লিটন। কিন্তু দলীয় ২৭ রানের মাথায় ওয়াশিংটন সুন্দরের বলে রায়নার হাতে কট দিয়ে ৯ বলে মাত্র ১১ রান করে দলকে চাপে রেখে সাজঘরে ফিরে যান লিটন।

একই রানে ফিরে গেলে তামিমও। ১৩ বলে মাত্র ১৫ রান করে চ্যাহালের বলে আউট হন তিনি। দল যখন বিপর্যয়ের মুখে তথনেনি মাত্র দলীয় ৬ যোগ করেই আউট হন সৌম্য সরকারও। এতে তার অবদান মাত্র এক রান। তামিম-লিটন মিলে ২৬ রান করলে মাত্র ১টি রান করে আউট হন সৌম্য।

কিন্তু এমন বিপর্যয় অবস্থায় বাংলাদেশ দল ১০০ রান করতে পারবে কিনা তা নিয়ে যখন শঙ্কা তখনি দলের হাল ধরলেন সাব্বির রহমান। তার ৭৭ রানের উপর ভর করেই বাংলাদেশ দল ১৬৬ রান করে।

নিদাহাস ট্রফিতে সাব্বিরের ব্যাটেংয়ে ভালো ভুমিকা রাখবেন চিন্তা করেই দলে সুযোগে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু গ্রুপ পর্বের কোন ম্যাচেই তেমন ভালো করতে পারেননি তিনি। তবে ফাইনালে ঠিকই নিজের অভিজ্ঞতার আলো ছড়িয়েছেন। ফাইনালে ৫০ বলে ৭৭ রানের এক ঝাঁঝালো ইনিংস খেলেন সাব্বির। তাতে ছিলো ৭ টি চার আর ৪টি ছক্কা। পাশাপাশি টি২০তে তুলে নিয়েছেন নিজের চতুর্থ ফিফটিও।

এর আগে নিদাহাস ট্রফির প্রথম ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে করেছে ২৬ বলে ৩০ রান। ৩ চার ও একটি ছয়ের সাহায্যে তিনি এর রান করেন। এরপরের ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২ বলে ০ রান করে পেররার হাতে রান আউট শিকার হন। আর নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে ভারতের সাথে ম্যাচে ২৩ বলে ২৭ রান। এ রান করতে গিয়ে ২টি চার ও একটি ছয় হাঁকিয়েছেন সাব্বির। এরপর গ্রুপ পর্বের সর্বশেষ ম্যাচে ৮ বলে ১৩ রান করেছেন যার মধ্যে ৩টিই চারের মার।

গ্রুপ পর্বের চার ম্যাচ মিলে যেখানে করেছেন মাত্র ৭০ রান সেখানে ফাইনাল ম্যাচেই করেছেন ৭৭ রান। ফাইনাল ম্যাচটিতে মুলত যিনিই ছিলেন নায়ক অথচ বাংলাদেশ দল ম্যাচটা হেরে যাওয়াতে তার কোন আলোচনাই নেই। যদি বাংলদেশ দল ফাইনাল ম্যাচটি জিতে শিরোপা হাতে নিতে পারতো তাহলে শিরোনামে সাব্বিরের নামই সবার শীর্ষে থাকতো।

তবে ফাইনাল ম্যাচ দিয়ে রানে ফেরায় বাংলাদেশ আগামী সিরিজ গুলোতে সাব্বিরের চার-ছক্কার মারের অপেক্ষায় থাকবে এটা নিশ্চিত ভাবে বলায় যায়।