বাংলাদেশকে চ্যালেঞ্জিং টার্গেট ছুড়ে দিলো শ্রীলঙ্কা

নিদহাস ট্রফির অঘোষিত সেমির আজকে মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ এবং শ্রীলঙ্কা। আর এই ম্যাচে প্রথম থেকে ভোগান্তিতে থাকা শ্রীলঙ্কা দল শেষ পর্যন্ত থিসারা এবং কুশাল পেরেরার ঝড়ো ব্যাটিংয়ে

নির্ধারিত ২০ ওভার খেলে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫৯ রান করে হাথুরুর শ্রীলঙ্কা। তাই ফাইনালে উঠতে হলে বাংলাদেশের করতে হবে ১৬০ রান।

প্রথমে ব্যাট করতে শুরুটা ভালো করেত পারেনি শ্রীলঙ্কা। নিদাহাস ট্রফিতে ফিরে অধিনয়াক সাকিব আল হাসান নিজের প্রথম ম্যাচেই ভাগ্যকে পাশে পেলেন। শুরুতেই বোলিং করতে আসে সাকিব আল হাসান। প্রথম ওভারে ৪ রান দিয়ে ওভার শেষ করে। নিজের দ্বিতীয় ওভারেই বোলিংয়ে এসে সাফল্য এনে দেন সাকিব আল হাসান। ইনিংসের তৃতীয় ওভারের প্রথম বলেই সাকিবকে লং অনের উপর দিয়ে বাউন্ডারিতে পাঠাতে চেয়েছিলেন গুনাথিলাকা। কিন্তু ঠিকমতো টাইমিং না হওয়ায় সেটি সাব্বির রহমানের হাতে তালুবন্দি হয় তিনি। আউট হওইয়ার আগে করে ৭ বলে মাত্র ৪ রান।

সাকিবের পরেই লঙ্কা শিবিরে আঘাত হানে মুস্তাফিজুর রহমান। নিজের প্রথম ওভারেই বোলিং করতে এসেই উইকেট পান এই কাঁটার মাস্টার। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে লঙ্কান ওপেনার কুশাল মেন্ডিসকে সাজঘরে পাঠান মুস্তাফিজ। সাজঘরে ফিরার আগে করে ১৪ বলে ১১ রান। এরপর লঙ্কা শিবিরে দ্বিতীয় আঘাত হানার পর মুস্তাফিজুর রান আউটের ফাঁদে ফেলেছিলেন উপল থারাঙ্গাকেও। নিজের প্রথম ওভারেই মেডেন উইকেট নিয়েছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান। দ্বিতীয় ওভারে আরও ভয়ঙ্কর তিনি। ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারের দ্বিতীয় বলে থারাঙ্গার রানআউটের পর চতুর্থ বলে গোল্ডন ডাক মেরে মাঠ ছাড়েন দাসুন শানাকা। মুস্তাফিজের অফ কাটার বুঝতে না পরে ধরা পড়েন তিনি। মুস্তাফিজের কাটার শানাকার ব্যাটের কানা স্পর্শ করে মুশফিকুর রহিমের গ্লাভসে বন্দি হয় তিনি। অলরাউন্ডার জিবন মেন্ডিসকে ফিরিয়েছেন মিরাজ। শর্ট ফাইন লেগে মুস্তাফিজের হাতে ক্যাচ দিয়ে বিদায় হন জিবন। আউট হওয়ার আগে করে ১১ বলে ৩ রান।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

শ্রীলঙ্কা: ১৬০/৭ (২০ ওভার)
ব্যাটিং: ইসুরু উদানা(৭*),আকিলা দনঞ্জয়া(১*)।

আউট: দানুশকা গুনাথিলাকা, কুসল মেন্ডিস, উপুল থারাঙ্গা, দাসুন শানাকা, জিবন মেন্ডিস, কুসল পেরেরা, থিসারা পেরেরা।

টার্গেট: ১৬০