বাংলাদেশী ক্রিকেটাররা যে ভদ্র তার প্রমাণ দিলেন মাহমুদউল্লাহ

চরম নাটকীয়তা মধ্যে টান টান উত্তেজনা শেষ ওভারে বাংলাদেশের প্রয়োজন মাত্র ১২ রান। ওভারে প্রথম দুই বল ডট, আত উপর আবার মোস্তাফিজের হয়ে যাওয়া তখন দরকার ৪ বলে ১২ রান। এমন চরম অবস্থায় মোস্তাফিজের মাথার ওপর দিয়ে বল যাওয়ার পরও কেন ‘নো’ বল ডাকা হলো না, তা নিয়ে বেঁধে যাবে দ্বন্দ্ব এমনই কঠিন অবস্থা সাকিবতো ইঙ্গিত দিলেন খেলা বন্ধ করার।

ক্রিজে জেগে থাকা একমাত্র আশার প্রদীপ মাহমুদউল্লাহ মনে বিশ্বাস থাকলে নাকি সব বাধা ডিঙানো যায়- কথাটা কতটা সত্যি, তার জ্বলজ্যান্ত প্রমাণ দিলেন মাহমুদউল্লাহ। শেষ ২ বলে যখন দরকার ৬রান গোতা দেশ তাকিয়ে আছে কি হয় সব কিছু যেন থেমে গেছে সবাই প্রার্থনায় রত ব্যাস সবার আশা রাখলেন মাহমুদউল্লাহ । ঐ মুহূর্তে বাঘের গর্জন তুলে উদানার বল নিয়ে ফেললেন গ্যালারিতে।

ততক্ষণে বাধভাঙা জোয়ারে বাসছে গোটা টাইগার শিবির এমন কি গোটা বাংলাদেশ। কিন্তু তখনও শেষ হয়নি কুশল মেন্ডিস-নুরুলের কথার লড়াই। তবে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা যে কত ভদ্র তার প্রমান দিলেন তামিম ইকবাল ও মাহমুদউল্লাহ। মাঠ থেকে তাদের বেরিয়ে যাওয়ার পর ওই উত্তাপের আঁচ কমলেও বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটের জন্য স্মৃতিতে বাঁধিয়ে রাখার মতোই এক ম্যাচের স্বাক্ষী হয়ে থাকবে এই প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে।

তবে এ কথা সত্য মাহমুদউল্লাহ সেই ছক্কায় আনন্দের স্রোতে ভাসলো ১৬ কোটি বাংলাদেশী।