বাঘ ধরতে গিয়ে রহস্যজনক মৃত্যু

বাঘ ধরতে গিয়ে রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হল বন দফতরেরই দুই কর্মীর। কিন্তু বাঘ এখনও ধরা পড়ল না। মঙ্গলবার সকালে গোয়ালতোড়ের ষাঁড়মারার জঙ্গলে বন দফতরের গাড়ির মধ্য থেকেই মৃত দুই কর্মীর দেহ উদ্ধার হয়।

মৃত দুই বনকর্মীর নাম অমল মাহাত এবং দামোদর মুর্মু। অমলবাবু গাড়ির চালক, দামোদর ছিলেন গার্ড।

গত তিন দিন ধরে গোয়ালতোড় এবং পশ্চিম মেদিনীপুর-বাঁকুড়ার সীমান্ত বরাবর জঙ্গলে বাঘটি ঘোরাফেরা করছে বলে দাবি করেন স্থানীয়রা। দিনের বেলা বাঘটিকে দেখা যায় বলেও খবর। ফলে, বাঘ ধরার জন্য সেখানে হাজির হন বন দফতরের কর্মীরা। মাধ্যমিক পরীক্ষা চলায় পরীক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাতেও বাঘ ধরার কাজে ব্যস্ত থাকছিলেন বনকর্মীরা।

বাঘ ধরতে যে সমস্ত সরঞ্জাম নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, তার মধ্যে বন দফতরের একটি বিশেষ গাড়ি ছিল। জঙ্গলে অভিযানের সময়ে নিরাপদে প্রাণীদের উপরে নজরদারির জন্য ওই গাড়িটি ব্যবহৃত হয়। গাড়িটির চারপাশ ঢাকা। ভিতরে বাতানুকুল যন্ত্র বসানো।
সেই মতো সোমবারও সারারাত ষাঁড়মারার জঙ্গলে পাহারায় ছিলেন ওই দুই বনকর্মী। রাতভর জেগে পাহারা দিয়ে ক্লান্ত দু’জন ভোরের দিকে বন দফতরের ওই গাড়িতে বিশ্রাম নিতে যান। বন দফতরের কর্তাদের ধারণা, গাড়ির বাতানুকুল যন্ত্রে কোনওরকম বিভ্রাটের কারণেই ঘুমন্ত অবস্থায় দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু হয় দু’জনের।

মেদিনীপুরেপ ডিএফও রবীন্দ্রনাথ সাহা ঘটনার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। দেহ দু’টি উদ্ধার করে গোয়ালতোড় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ এবং বন দফতর।