বাবা ভ্যাঙ্গার কি বলে গেলেন মরনের আগে

পৃথিবীর ভবিষ্যৎ নিয়ে বলেছিলেন আরও একজন। তবে তিনি নস্ত্রাদামুসের মতো দূর অতীতের বাসিন্দা নন। বাবা ভ্যাঙ্গা নামের এই মরমি মহিলা বেঁচে ছিলেন এই সেদিনও।

বুলগেরিয়ার বাসিন্দা বাবা ভ্যাঙ্গার আসল নাম ভ্যাঙ্গেলিয়া প্যানদেভা দিমিত্রোভা। থট রিডিং, অলৌকিক উপায়ে রোগ নিরাময় ইত্যাদি ক্রিয়ার কারণে তিনি খ্যাতি পেয়েছেন। ১৯১১ সালে জন্ম ভ্যাঙ্গেলিয়ার। বাল্যকালে তাঁর আর পাঁচটা মেয়ের মতোই সাধারণ ও ‘স্বাভাবিক’ ছিলেন তিনি। কিন্তু এক ঘূর্ণিঝড় এসে সব ওলট পালট করে দেয়। ভ্যাঙ্গেলিয়া স্বয়ং জানিয়েছিলেন, ঝড় তাঁকে উড়িয়ে নিয়ে যায়। অনেক খোঁজাখুঁজির পরে তাঁকে পাওয়া যায়। চৈতন্য ফিরতে তিনি টের পান, তাঁর চোখে কোনও সমস্যা হয়েছে। ক্রমে তিনি সম্পূর্ণ ভাবে দৃষ্টিশক্তি হারান।

১৯২৫-এ ভ্যাঙ্গা দৃষ্টিহীনদের জন্য এক বিশেষ বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। পরে তিনি পিয়ানো বাজানো, রান্না করা, উল বোনা ইত্যাদিও শেখেন। এই সময় থেকেই তাঁর মধ্যে অতিপ্রাকৃত ক্ষমতার উদয় দেখা দেয়। তিনি ভবিষ্যতে ঘটবে, এমন ঘটনার কথা অবলীলায় বলতে শুরু করেন। অচিরেই তাঁকে ‘বলকানের নস্ত্রাদামুস’ বলে অভিহিত করা হয়। তাঁর খ্যাতি দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়ে।

বাবা ভ্যাঙ্গা যে ভবিষ্যদ্বাণীগুলি করেছিলেন, তার মধ্যে অনেক ঘটনাই মিলে গিয়েছে। এখানে রইল তাঁর ভবিষ্যদ্বাণীর নির্বাচিত অংশ।

• বিশ্ব রাজনীতিতে চিনের প্রবল উত্থানের কথা বলে গিয়েছিলেন বাবা ভ্যাঙ্গা। সেই সঙ্গে জানিয়েছিলেন, এই দেশ শুক্রগ্রহে নতুন কোনও শক্তির উৎস খুঁজে বের করবে।

• ২০১৮-এর পর থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সংকটের মধ্যে পড়বে বলে জানান তিনি।

• ২০২৮ সালে বিশ্বব্যাপী খাদ্য সংকট দেখা দেবে, এমন কথাও তিনি বলেছিলেন।

• বাবা ভ্যাঙ্গার মতে, ২০১৬ সাল থেকে ইউরোপের অবলোপ ঘটবে। ব্রেক্সিটের কথা মাথায় রাখলে একথা অস্বীকার করা যাবে না।

• ইসলামি শক্তির দ্বারা ইউরোপ বিপন্ন হয়ে পড়বে। সিরিয়ায় ইসলামি শক্তিগুলি বিপুল যুদ্ধে জড়িয়ে পড়বে।