বিভিন্ন ম্যাচে কতটুকু সফল ছিল ভিএআর?

প্রায় ম্যাচেই দেখা যাচ্ছে ভুল হচ্ছে রেফারির। কিছু ভুল মার্জনীয় হলেও অধিকাংশ সময়ই এমন কিছু ভুল করে রেফারি যা দেখে যে কারো মনে প্রশ্ন উঠতে বাধ্য রেফারি আসলেই ম্যাচে নিরপেক্ষ কি না। অনেক সমসয় রেফারির এই ভুলের কারনে যোগ্য দলটিকেই যেতে হয় ট্রুনামেন্টের বাইরে কিংবা যোগ্য দলটির হাতে সব সময় সফলতা আসে না। তাই বিশ্বকাপের মত ম্যাচে যাতে এই ধরনের কিছু না হয় সেজন্য ভিএআর বা ভিডিও রেফারি প্রযুক্তি ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফিফা।

এদিক থেকে ২০১৮ সালের মার্চের ৩ তারিখটি ফুটবল ইতিহাসে লিখা থাকবে ভিএআর দিন হিসেবে যেদিন আনুষ্ঠানিক ভাবে ফুটবলে ভিএআরের যুগের সূচনা হল। এদিন ফিফা ঘোষনা দিয়েছে বিশ্বকাপে এই প্রযুক্তি ব্যবহারের সম্পর্কে। তবে ফিফা কোন দলকে বাধ্যতামূলক ভাবে এই সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিবে না। যদি কোন দলের কোচ মনে করেন তাদের ম্যাচে ভিএআর প্রয়োজন, কেবল তখনই এই প্রযুক্তি ঐ ম্যাচে প্রযোজ্য হবে।

শুধু ফিফা-ই নয়, আগামী মৌসুম থেকে স্পানিশ লা লিগায়ও এই ভিএআর ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ইংলিশ লিগ কাপ কিংবা কিছু কিছু আন্তর্জাতিক ম্যাচে এরই মধ্যে এই প্রযুক্তি ব্যবহার শুরু হয়েছে। তবে চলুন দেখে আসি, সেই সব ম্যাচে ভিএআরের সফলতা কেমন ছিল?

সার বিশ্বে এখনো পর্যন্ত ৯৭২টি অফিসিয়াল ম্যাচে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। একই সময়ে ৬৯৩টি প্রীতি ম্যাচে ব্যবহার হয়েছে ভিএআর। আর এই সকল ম্যাচে ভিএআরের সফলতা ছিল চোখে পড়ার মত।

এসকল ম্যাচে ভিএআরের সফলতার হার ছিল ৯৮.৮ শতাংশ। ভিএআর ছাড়া প্রতি ৩ টি ম্যাচে একটি ভুল হত। কিন্তু ভিএআর সহ প্রতি ১৯টি ম্যাচে একটি ভুল হয়। গড়ে ভিএআর প্রযুক্তিতে একএকটি সিদ্ধান্ত নিতে ১ মিনিট করে সময় লাগে।

সাধারনত কোন ম্যাচে ৮ মিনিট ১৫ সেকেন্ড সময় নস্ট হয় ফ্রিকিকের সময়। সাত মিনিট সময় নস্ট হয় থ্রো-ইন এর সময়। ৫ মিনিট ৪৫ সেকেন্ড সময় নস্ট হয় গোলের পর। ৪ মিনিট সময় নস্ট হয় কর্নারের সময় এবং ৩ মিনিট সময় নস্ট হয় খেলোয়ার বদলির সময়।