বিয়ের প্রলোভনে দীর্ঘদিন ধর্ষণের পর বিয়ে করতে অস্বীকৃতি, আত্মঘাতী ছাত্রী

মুলাদীতে ডেটিংয়ে নিয়ে ধর্ষণের পর বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানানোয় আগুনে পুড়ে এক কলেজছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার মুলাদী ডিগ্রি কলেজের ১ম বর্ষের লুনা আকতার নামে ওই ছাত্রী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তিনি পৌর সদরের তেরচর গ্রামের আব্দুর রহমান হাওলাদারের মেয়ে। তিনি গত ১৬ ফেব্রুয়ারি বাড়িতে নিজের গায়ে কেরোসিন ঢেলে অগ্নিসংযোগ করে আত্মহত্যার চেষ্টা চালান। ওই ঘটনায় লুনার বাবা আবদুর রহমান হাওলাদার বাদী হয়ে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাতে কথিত বয়ফ্রেন্ড হিজলা উপজেলার চরনরসিংহপুর গ্রামের নুরুল ইসলাম মাঝির ছেলে আরিফ মাঝির বিরুদ্ধে মুলাদী থানায় মামলা করেন।

জানা গেছে, মুলাদী কলেজে একই শ্রেণিতে পড়াশোনার সুযোগে আরিফ মাঝি মুলাদী পৌর সদরের তেরচর গ্রামের আব্দুর রহমান হাওলাদারের মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। সম্পর্কের সুযোগ নিয়ে আরিফ ২০১৭ সালের ১৬ জুলাই লুনাকে নিয়ে বরিশালের এক হোটেলে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে রাত কাটায় এবং বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ছাত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে আরিফ মাঝি বিভিন্ন সময় লুনাকে বিভিন্নস্থানে নিয়ে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ রয়েছে।

গত ১৬ ফেব্রুয়ারি লুনা তার বয়ফ্রেন্ড আরিফকে বিয়ের কথা বলতে সে তালবাহানা করে একপর্যায়ে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায়। বিষয়টি আরিফের পরিবার জানতে পেরে ওই দিনই তার বোন ও ভগ্নিপতি মোশারেফ হোসেন মোবাইল ফোনে লুনাকে অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ করে। অপবদা সইতে না পেরে লুনা আক্তার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। দীর্ঘ ৩৬ দিন চিকিৎসা শেষে লুনা শনিবার মারা যান।