বেড়িয়ে এল থলের বিড়াল- বল টেম্পারিং কেলেঙ্কারির মূলহোতা ওয়ার্নার!

দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে কেপটাউন টেস্টের তৃতীয় দিন বল টেম্পারিং কেলেঙ্কারিতে অধিনায়ক স্মিথসহ নাম জড়িয়েছে একাধিক ক্রিকেটারের। অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটে কালোদিনে অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন স্টিভেন স্মিথ। সহ-অধিনায়কের দায়িত্বও ছেড়েছেন ডেভিড ওয়ার্নার।

কেপটাউন টেস্টের বিতর্কের পর উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর ভিডিও এবং তথ্য। জানুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে হওয়া অ্যাশেজ সিরিজের সময় পকেটে চিনি নিয়ে বেনক্রফটের মাঠে নামার ভিডিও প্রকাশ পাওয়ার পর নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে। প্রশ্ন উঠছে তবে কি কেপটাউন টেস্টের মতো অ্যাশজেও পরিকল্পনা করে বল বিকৃত করেছিল অসিরা?

এবার সামনে উঠে এল আরেক চাঞ্চল্যকর তথ্য। এক ইংলিশ দৈনিকের করা খবর অনুয়ায়ী, অ্যাশেজ সিরিজে বাঁ-হাতে টেপ লাগিয়ে মাঠে নামেন ওয়ার্নার। সেই টেপ লাগানো নিয়েই এবার প্রশ্ন দেখা দিচ্ছে! শিরিশ কাগজ জাতীয় কিছু ব্যবহার করে যেভাবে বেনক্রফট বল বিকৃতি করেছেন, সেভাবেই কি তবে হাতে বাঁধা টেপের সাহায্য নিয়ে অ্যাশেজে বল বিকৃতি করেছেন ওয়ার্নার? ব্রিটিশ ট্যাবলয়েডের পক্ষ থেকে এই প্রশ্নই তুলে ধরা হয়েছে।

ওয়ার্নারে বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ ফিল্ডিং করার সময় এই ধরনের টেপ পরে নামলেও ব্যাটিংয়ের সময় কিন্তু ওয়ার্নারের হাতে কোনো টেপ থাকে না। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টেও ওয়ার্নারের হাতে ছিল এমন টেপ। তাতে আবার তার স্ত্রীর নাম লেখা ছিল। ক্যামেরাতেও ধরা পড়ে সেই দৃশ্য। সে সময় ঘটনাটি নিয়ে কোনো আগ্রহ তৈরি না হলেও কেপটাউনের বল বিকৃতির ঘটনার পর এখন ওয়ার্নারে বাঁ-হাতের টেপিংয়ের ভিডিও আতস কাঁচের নিচে।

অস্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত সিডনি মর্নিং হেরাল্ড খবরের শিরোনামই করেছে, ‘ডেভিড ওয়ার্নার অ্যাট দ্য হার্ট অব বল টেম্পারিং স্ক্যান্ডাল।’ অর্থাৎ, ডেভিড ওয়ার্নারই হলেন বল টেম্পারিংয়ের মূলহোতা। সম্ভবত, জোহানেসবার্গ টেস্টে তাকে খেলতেও দেখা না যেতে পারে।