ভাগ্যের জোরে বিশ্বকাপে উইন্ডিজ

স্কোরবোর্ডে পুঁজি ছিলো মাত্র ১৯৮ রান। আধুনিক ক্রিকেটে এই পুঁজি নিয়ে টি-টোয়েন্টি হয়তো জেতা যায়, কিন্তু ওয়ানডে নয়। তবে উইন্ডিজ এই স্কোর নিয়েই স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে জিতে গেলো এবং যা নিশ্চিত করলো তাদের ২০১৯ বিশ্বকাপ খেলাও।

১৯৮ রানের জবাব দিতে নেমে ৩৫ ওভারে দুই বলে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ১২৫ রান করে স্কটল্যান্ড। এরপরই নেমে আসে বৃষ্টি। পরে বৃষ্টির কারণে আর খেলাই শুরু করা সম্ভব হয়নি। শেষ পর্যন্ত ডাকওয়ার্থ লুইস মেথডে উইন্ডিজকে পাঁচ রনে জয়ী ঘোষণা করা হয়।

এই জয়ের মাধ্যমে সর্বোচ্চ আট পয়েন্ট নিয়ে বিশ্বকাপে উঠে গেলো ক্যারিবীয়রা। আর বাদ পড়ে গেলো স্কটল্যান্ড। বিশ্বকাপ কোয়ালিফায়ারের সুপার সিক্সের বাকি চার দলের কারো পক্ষে আর ক্যারিবীয়দের ছাড়িয়ে যাওয়া সম্ভব নয়।

স্কটল্যান্ড যতো ওভার খেলেছে, এর মধ্যে তারা যদি অন্তত ১৩০ রান করতে পারতো, তাহলে হেরে যেতো ক্যারিবীয়রাই। কিন্তু ভাগ্য ছিলো তাদের পক্ষেই। ফলে বল হাতে ক্যারিবীয়দের ১৯৮ রানে গুটিয়ে দেয়ার পরও বিশ্বকাপের মঞ্চে আর পা ফেলা হলো না স্কটিশদের। পক্ষান্তরে ক্যারিবীয়দের ছাড়া বিশ্বকাপ হওয়ার যে শঙ্কা দেখা দিয়েছিলো, সেটাও গেলো কেটে।

হারারে স্পোর্টস ক্লাবে অনুষ্ঠিত হওয়া ম্যাচের প্রথম ইনিংসে দাপট দেখিয়েছেন স্কটল্যান্ডের বোলাররা। বিশেষ করে সাফয়ান শরিফ। তিনি দুই রানের মধ্যে ক্রিস গেইল ও শাই হোপকে ফেরান। এর মধ্যে গেইল ফিরেন একেবারে ইনিংসের প্রথম বলে। শরিফ মোট তিনটি উইকেট নেন।

তিনটি উইকেট নেন ব্রাডলি হুইলও। এ ছাড়া দুটি উইকেট নেন মাইকেল লিসক। তবে ম্যাচসেরা হন শরিফ। তার বোলিংয়ের সামনেই মূলত শুরুতেই ধাক্কা খায় উইন্ডিজ।

১৯৮ রানের জবাব দিতে নেমে ছয় রানে প্রথম এবং ১২ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় স্কটল্যান্ড। বাড়তে থাকে তাদের ওভার প্রতি রান নেয়ার চাপও। এভাবেই ধীরে ধীরে ম্যাচ থেকে ছিটকে যেতে থাকে স্কটিশরা। তারপরও যতোটুকু সম্ভাবনা ছিলো, তা শেষ হয়ে বৃষ্টির কারণে।

বিশ্বকাপ কোয়ালিফায়ার থেকে মোট দুই দল যাবে বিশ্বকাপে। উইন্ডিজের পর বিশ্বকাপে উঠার লড়াইয়ে এগিয়ে আছে জিম্বাবুয়ে। সুপার সিক্সে নিজেদের শেষ ম্যাচ তারা খেলবে আরব আমিরাতের বিপক্ষে। ম্যাচটি জিততে পারলে জিম্বাবুয়েও চলে যাবে ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে।