ভিটামিন ডি’র অভাবে ভুগছেন, দূর করুন সহজ উপায়ে

কথায় আছে সাস্থ্য সকল সুখের মূল। আর সাস্থ্য ভালো না থাকলে মন মানসিকতা এমনকি কোন কাজে মন বসেনা। তাই আগে প্রয়োজন সাস্থ্য রক্ষা। মুলত সাস্থ্য খারাপ হওয়া প্রধান কারণ শরীর ঘঠনের জন্য যে সকল ভিটামিন ধরকার তার অভাব হলে। তাই প্রত্যেকটি মানব দেহের জন্য ভিটামিন থুবই গুরুত্বপূর্ণ। মানুষের শরীরের প্রয়োজনী ভিটামিন গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি ভিটামিন হলো ভিটামিন ডি।

ভিটামিন ডি মুলত মানুষের শরীরের ফাঙ্গাল ইনফেকশন দূরে করে থাকে, হার্টের উন্নতি ঘটায়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার বৃদ্ধি করে, ঘুম ভাল হয়, ত্বকের রোগ সারাতে সাহায্য করে, ক্যান্সার রোগকে প্রতিরোধ করে, মাল্টিপল স্কলোরোসিস মতো রোগের প্রকোপ কমে এবং শরীরে বাজে কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস পায়।

ভিটামিন ডির অভাবে মানুষের হাড় এত শক্তপোক্ত হয়ে ওঠে যে চোট-আঘাত লাগার আশঙ্কা হ্রাস পায়। সেই সঙ্গে জয়েন্ট, ঘার এবং গোড়ালির কর্মক্ষমতাও বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। এছাড়া যাদের শরীররে রোদ না লাগে তাদের শরীরে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি দেখা দেবে।

ভিটামিন ডি অভাব দেখা দিলে বিভিন্নি উপায় ও খাবারের মাধ্যমে অতি সহজে দূর করতে পারেন:

কর্ডলিভার অয়েল:
কর্ড মাছের লিভার থেকে সংগ্রহ করা তেল সারা গায়ে লাগিয়ে যদি গায়ে মাখতে পারেন। তাহলে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি হওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই থাকে না। কারণ এই তেলটির অন্দরে প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন ডি মজুত থাকে, যা হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে এবং জযেন্ট পেন কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

মাশরুম:
ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি মেটাতে এই প্রকৃতিক উপাদানটির কোনও বিকল্প হয় নেই। তাই হাড়ের পাশপাশি হার্ট এবং ব্রেনকে যদি চাঙ্গা রাখতে চান, তাহলে সপ্তাহে ২-৩ দিন মাশরুম খেতেই হবে। প্রসঙ্গত, ভিটামিন বি-এর চাহিদা পূরণেও মাশরুমের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে।

সামদ্রিক মাছ:
মাছের শরীরে, বিশেষত সামদ্রিক মাছে যে পরিমাণে ওমেগা ত্রি ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে, সেই পরিমাণে থাকে ভিটামিন ডি-ও। তাই তো প্রতিদিন মাছ খেলে শরীরে এই বিশেষ ধরনের ভিটামনিটির ঘাটতি হওয়ার কোনও আশঙ্কাই থাকে না।

সূর্যমুখী ফুলের বীজ:
এই প্রাকৃতিক উপাদানটিতি প্রচুর মাত্রায় মজুত রয়েছে ভিটামিন ডি এবং উপকারি প্রোটিন। তাই তো নিয়মিত যদি সূর্যমুখী ফুলের বীজ একটু ভেজে নিয়ে খেতে পারেন, তাহলে ভিটামিন ডি-এর যোগান নিয়ে আর কোনও চিন্তাই থাকবে না।

দুধ খাওয়া জরুরি:
মাশরুমে যে মাত্রায় ভিটামিন ডি রেয়েছে, তার থেকে কিছু কম নেই দুধে। তাই তো শরীরে এই উপকারি ভিটামিনটির যোগান ঠিক রাখতে প্রতিদিন দুধ নয়তো কোনও না কোনও দুগ্ধজাত খাবার খাওয়া জরুরি।

ডিমের সঙ্গ ছাড়া চলবে না:
শরীরে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি মেটাতে যদি চান, তাহলে প্রতিদিনের ডায়েটে একটা করে ডিম থাকা মাস্ট। নিউট্রিশনিস্টদের মতে ডিমের ভেতরে যেমন প্রচুর মাত্রায় প্রোটিন এবং উপকারি কোলেস্টেরল রয়েছে, তেমনি রয়েছে ভিটামিন ডি-ও। তাই তো শরীরকে কর্মক্ষম রাখতে এবং নানাবিধ হাড়ের রোগকে দূরে রাখতে নিয়মিত একটা বা দুটো করে ডিন খাওয়া উচিত।