ভূমি কর্মকর্তার গৃহে টাকার খনি!

আজিব ঘটনাই বলা যায়। ভূমি কর্মকর্তার ঘরে টাকার খনি! পাওয়া গেল লাখ লাখ টাকা। কিশোরগঞ্জ জেলার এক ভূমি কর্মকর্তার বাড়ি থেকে কয়েকশ বান্ডিল টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া ওই টাকার পরিমাণ ৯২ লাখ!

ভূমি অধিগ্রহণ তহবিল থেকে ১৪ কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া জেলা হিসাবরক্ষণ অফিসের অডিটর সৈয়দুজ্জামানের বাড়ি থেকে ওই টাকা উদ্ধার করে দুদক।

মঙ্গলবার গভীর রাতে দুর্নীতি দমন কমিশনের ঢাকা বিভাগের পরিচালক নাসিম আনোয়ারের নেতৃত্বে ৪ সদস্যের একটি দল স্থানীয় পুলিশের সহায়তায় কিশোরগঞ্জ জেলা সদরের কাতিয়ারচর এলাকায় সৈয়দুজ্জামানের বাড়িতে এ অভিযান চালায়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- কিশোরগঞ্জ কালেক্টরেটের ম্যাজিস্ট্রেট আবু তাহের মো. সাঈদ, দুদকের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. ওয়াদুদ, মনিরুল ইসলাম, ফজলুল বারী ও কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ওসি আবুশামা মো. ইকবাল হায়াত।

জানা যায়, কিশোরগঞ্জে ভূমি অধিগ্রহণের তহবিল থেকে কালেক্টরেটের ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা সেতাফুল ইসলাম জাল আদেশ তৈরি ও প্রতারণা করে চেকের মাধ্যমে ৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন। এছাড়া আরও কয়েকটি চেকের মাধ্যমে প্রায় ৯ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।

গত ১৭ জানুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ময়মনসিংহ অঞ্চলের একটি দল সেতাফুলকে পিরোজপুর জেলা থেকে গ্রেপ্তার করে। একই দিন তার বিরুদ্ধে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি মামলা করে দুদক।

২৯ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে ম্যাজিস্ট্রেট আ. ছালাম খান জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সেতাফুল ইসলামকে পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

দুদক কর্মকর্তারা জানান, গত ২ ফেব্রুয়ারি ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা (এলএও) মো. সেতাফুল ইসলাম কিশোরগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এরপরই গত ৬ ফেব্রুয়ারি গ্রেপ্তার করা হয় জেলা হিসাবরক্ষণ অফিসের অডিটর সৈয়দুজ্জামান ও পিয়ন দুলাল মিয়াকে। তাদের দেয়া তথ্যে সৈয়দুজ্জামানের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে এ টাকা পাওয়া যায়।