মরদেহ ফিরে পেতে স্বজন্দের বিড়ম্বনা

পুড়ে অঙ্গার হয়ে যাওয়া লাশ কি ভিবস্ত আপনজন হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের সামনে স্বজন্দের ভিড় অন্তত প্রিয় জনের লাশ টা দেশে নিয়ে সমাহিত করা যায়। কাঠমান্ডু ট্র্যাজেডিতে প্রাণ হারানো বাংলাদেশিদের লাশ এখনো পান নি স্বাজনরা । অন্যদিকে আহত যাত্রীরা কাতরাচ্ছেন হাসপাতালের বেডে। তাদের ভাগ্যে আসলে শেষ পর্যন্ত কী আছে-সেটা নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না কেউই।

গতকাল বুধবার সকালে কাঠমান্ডুর টিচিং হাসপাতালের ফরেনসিক ল্যাবের সামনে গিয়ে এমন চিতের দেখা মিলে, বিক্ষুদ্ধ স্বজনরা মরদেহ শনাক্ত করার জন্য নির্ধারিত ফরম পূরণ করছেন। ৫১ মরদেহের মধ্যে ১৭-১৮টির ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হলেও পরিচয় শনাক্ত হয়নি একটিরও আখনো। স্থানীয় পুলিশের কড়াকড়ি আর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বাধায় বারবার ফিরতে হচ্ছে স্বজনদের। কিন্ত মন যে মানে না তাই বার বার শত বাধা উপেক্ষা করে আবার ছুটছেন।বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তা ও ইউএস বাংলার কর্তা ব্যক্তিরা আপ্রাণ চেষ্টা করেও কোনো স্বজনকে তার আপনজনের দেহ দেখানোর সুযোগ করে দিতে পারেননি।

টবে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে,চিকিৎসকগণ পরিচয় নিশ্চিত হয়েই তারা মরদেহ হাস্তান্তর করবেন তার আগে নয়। কাঠমান্ডু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে দেখা মেলে নিহত আলোকচিত্রী এফএই প্রিয়কের আহত স্ত্রী আলমুন নাহার অ্যানীর , মাত্র তিন-চার সেকেন্ডের ভয়ঙ্কর সেই দৃশ্যের স্মৃতি মনে পড়তেই শিউরে উঠছেন তিনি বারা বার।

কাঠমান্ডুতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাশফি বিনতে শামস সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, দুর্ঘটনায় নিহতদের সবার মরদেহ সনাক্ত করে দেশে পাঠাতে আরও কয়েকদিন লাগতে পারে।