মিয়ানমারের প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ

মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট থিন কিউ পদত্যাগ করছেন।  তবে কী কারণে পদত্যাগ করেছেন তার কোনো তথ্য জানা যায়নি। তবে সাম্প্রতিক সময়ে তার স্বাস্থ্যের অবনতি বিষয়টিও পদত্যাগের কারণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

পাঁচ দশকেরও বেশি সময় পর মিয়ানমারের বেসামরিক প্রেসিডেন্ট হন থিন কিউ। থিন কিউ সু চির ডান হাত হিসেবে পরিচিত ছিলেন। বুধবার তাঁর কার্যালয় থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।

দীর্ঘ সামরিক শাসনের পর মিয়ানমারে গণতান্ত্রিক নির্বাচনে অং সান সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) ক্ষমতায় আসে। ২০১৫ সালের নভেম্বরের নির্বাচনে এনএলডি এই বিজয় পায়। ২০১৬ সালের মার্চ মাসে থিন কিউ প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পান। দায়িত্ব নেওয়ার দুই বছরের মাথায় পদত্যাগ করলেন থিন কিউ।

২০১৫ সালের নভেম্বরের ঐতিহাসিক সাধারণ নির্বাচনের পর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রের অভিযাত্রায় এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটিতে।

নির্বাচনে বিজয়ের পরপরই থিন কিউ বলেন, ‘এ বিজয় বোন সু চির’।

সেনাবাহিনীর তৈরি সংবিধানে বিধিনিষেধ থাকায় নিজে প্রেসিডেন্ট হতে পারেননি এনএলডি নেত্রী সু চি। ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) নেত্রী অং সান সুচির ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ৭১ বছর বয়সী থিন কিয়াও।