বিয়ের দুই দিনে আগে মেয়েকে খুন করল বাবা

বিয়ের মাত্র দু’দিন আগেই প্রাণ হারাতে হল কেরলের এক যুবতীকে। মেয়েকে হত্যা করলেন স্বয়ং বাবা।

মৃতের নাম অথিরা। কেরলের মালাপ্পুরম জেলার কিঝুপরম্ভা গ্রামের এই যুবতীর বয়স ২২ বছর। শুক্রবার আরিক্কোডুর এক প্রতিষ্ঠিত মন্দিরে তাঁর বিয়ে হওয়ার কথা ছিল কৈলাণ্ডি গ্রামের বাসিন্দা ব্রজেশের সঙ্গে। বিয়েতে মত ছিল দু’পক্ষেরই। কেবল অনিচ্ছুক ছিলেন অথিরার বাবা রাজন।

ভারতীয় সেনায় কর্মরত ব্রজেশ। অন্যদিকে, মঞ্জিরি এলাকার এক সরকারি হাসপাতালে ডায়ালাইসিস ইউনিটে কর্মরত অথিরা। কয়েক বছর আগে বেঙ্গালুরুতে দেখা হয়েছিল দু’জনের। সেখান থেকেই সম্পর্কের শুরু। কিন্তু দু’জনের জাতি আলাদা হওয়ায় প্রথম থেকেই তাঁদের বিয়েতে মত ছিল না রাজনের। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয়েছে এই ঘটনার কথা। তবে রাজনের আপত্তি থাকলেও অথিরার পরিবারের বাকি সদস্যরা যুগলের বিয়েতে মত দিয়েছিলেন। সেই রোষেই মেয়েকে খুন করলেন রাজন।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে বিয়ের ব্যপারে অথিরার সঙ্গে বচসা বাঁধে রাজনের। রাগের বসে সবজি কাটার ছুরি দিয়ে তিনি কোপ বসাতে থাকেন অথিরার শরীরে। পরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু ঘটে যুবতীর।

এই বিষয়ে তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিক ই সিনোদ জানিয়েছেন, অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রাজনের পরিবারের সদস্যরাও তাঁর বিরুদ্ধে বয়ান দিতে রাজি হয়ে গিয়েছেন।