যে কারণে ২০১৮ বিশ্বকাপে ফেবারিট ব্রাজিল

সামনে ২০১০৮ বিশ্বাকাপ কিন্তু অন্যবারের মত ফেবারিট দলের মধ্য অন্যতম দল ব্রাজিল। ফুটবলের প্রতি ব্রাজিলের আবেগ এবং অতীত ঐহিত্য সেলেকাওদের সবসময় বিশ্বকাপে ফেবারিটের আসন দিয়েছে। তবে এবারের রাশিয়ার বিশ্বকাপে সেই তক্মাটা  একটু ভারিই ব্রাজিলের দিকে। ফুটবল ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম ‘মার্কা’র মতে সে সাতটি কারণে ব্রাজিলকে ০১৮ বিশ্বকাপের ফেবারিট দল মনে করা হচ্ছে।

মার্কার মতে, ২০১৪ সালের বিশ্বকাপ পরাজয়ের পর অধিনায়কত্ব হারান থিয়াগো সিলভা। কিন্তু দলের কোচ তিতে আবার তার আত্মবিশ্বাসের জায়গায় ফিরে পেয়েছেন। সিলভার পিএসজি সতীর্থ মারকুইনোস এবং ইন্টার মিলানের মিরান্দাকে নিয়ে বিশ্বসেরা এক ডিফেন্স দাঁড় করিয়েছেন তিতে। কাসেমিরো এবং পাউলিনহো ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডে দল্কে ভারসাম্যের জাস্যগায় দাড় করিয়েছে।

বিশ্বকাপ জিততে দরকার ভালো মানের একজন গোলরক্ষক আর সেটার দ্বায়ীত্ব ভাল ভাবেই পালন করছে আলিসন।ব্রাজিল এবং রোমার হয়ে দারুণ পারফর্ম করার পাশাপাশি এই গোলরক্ষক এরইমধ্যে রিয়াল মাদ্রিদের প্রথম পছন্দে পরিণত হয়েছেন।

ফর্মে থাকা খেলোয়াড় নিয়ে মাঠে নামাচ্ছেন এতা তিতের একটি বিশেষ গুন। যার কারণে দলে আবার জায়গা পাচ্ছে ।যা আগে ব্রাজিলে দেখা যায়নি। এই ধারাবাহিকতায় দলে ফিরলেন মার্সেলো।

ব্রাজিল দলে নেইমার ছাড়াও কৌটিনহো, উইলিয়াম, ডগলাস কস্তার মতো খেলোয়াড় আছে। যার ফলে অন্য দলের মত এক খেলোয়ারেই নির্ভর হয়ে পড়েছেনা ব্রাজিল। যেমন আর্জেন্টিনা মেসি।
২০১৪ সালের মত নাম্বার ৯ নিয়ে আর সমস্যা নেই ব্রাজিল দলে। গ্যাবিয়েল জেসুসের মতো একজন নরুন খেলোয়ারকে দলে আনা হয়েছে যে অলিম্পিক জেতাতে দারুণ অবদান রাখে। এই দিক থেকে তিতে অনেক দক্ষ বলা যায়।

আত্মবিশ্বাসে ফেরা এই ব্রাজিল দল আলাদাভাবে সবার নজর কেড়েছে। কারণ প্রীতি ম্যাচেও ব্রাজিলের দারুন সাফল্য তা প্রমাণ করে। আবেগ সরিয়ে খেলোয়াড়রা যে জিততে মরিয়া তা প্রমাণ করেছে।

ব্রাজিল দলের কোচ তিতে বিতর্কের উর্ধ্বে অবস্থান করা এক মানুষ। ব্রাজিলের আগের দুই কোচ ফিলিপে স্কলারি এবং দুঙ্গার থেকে তিতে বেশ আলাদা। তার খেলোয়াড় এবং সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে সম্পর্কটা বেশ ভালো। কোচের কথায় খেলোয়াড়দের মনোযোগ, দেশের এবং কোচের জন্য খেলোয়াড়দের লড়াই করার মনোভাব তাকে আলাদা মর্যদার স্থানে নিয়ে গেছে।

আর এই কারণেই মার্কা মনে করছে ২০১৮ রাশিয়ার বিশ্বকাপে স্পেন, জার্মানি, আর্জেন্টিনা এবং ফ্রান্সের পাশাপাশি ব্রাজিল ‘টপ ফেবারিট’ দল।