রোগের নাম মেসি নির্ভরতা, ওষুধ কি হতে পারবে দিবালা!

আর্জেন্টিনার ট্যালেন্টেড তারকা পাওলো দিবালা হয়তো এবারের আর্জেন্টিনার অন্যতম নির্ভরতার প্রতীক হতে পারত যদি লিও মেসি না থাকত। দুজনের পজিশন একই হওয়াতে দিবালাকে এখন থাকতে হচ্ছে দলের বাইরে। কারন কিন্তু একটাই। আর্জেন্টিনা এখন পুরো মেসির উপর নির্ভরশীল।

গতরাতে স্পেনের বিপক্ষে আর্জেন্টিনার ম্যাচের প্রতিটা মুহুর্তে মেসিকে অনুভব করেছে আর্জেন্টিনা। আর্জেন্টিনার আক্রমন ভাগের তারকাদের মাঠে খুজেই পাওয়া যায়নি। যে একটা গোল এসেছে, সেটা্ও রক্ষন ভাগের খেলোয়ারদের কল্যানে।

আর্জেন্টিনা যে মেসি নির্ভর সেটা বুঝা গিয়েছিল বিশ্বকাপ বাছাই পর্বেই। এক মেসির কারনেই আর্জেন্টিনা এবার বিশ্বকাপে। স্বপ্ন দেখছে বিশ্ব জয়ের। সেটাও কিন্তু এই মেসির ভরসাতেই। আর এটাই আর্জেন্টিনার সবচেয়ে বড় দুর্বলতা।

শুধু মাত্র নেইমারের উপর ভর করে চলার কারনে ব্রাজিলের কি হাল হয়েছিল সেটা এখনো উদাহরন হয়ে থাকার মত দাড়িয়ে আছে বিভিন্ন দলের সামনে। সেই হার থেকে শিক্ষা নিয়ে ব্রাজিল এবার অল অ্যাবাউট দল তৈরি করেছে। সেখানে আর্জেন্টিনা বেড়িয়ে আসতে পারেনি মেসির খোলস থেকে।

এই মুহুর্তে আক্রমন ভাগে দিবালাকে নিয়ে আসলেই কি আর্জেন্টিনার সমাধান হয়ে যাবে?

দিবালা জাতীয় দলে বেশ কিছু ম্যাচেই খেলেছে। কিন্তু কোন ম্যাচেই সে নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেনি। জুভেন্টাসের হয়ে ভুরি ভুরি গোল করা দিবালাকে জাতীয় দলের জার্সিতে যেন খুজেই পাওয়া যায়না। কি কারন তার?

দিবালা নিজেই জানিয়েছিল, মেসির সাথে খেলতে তার অসুবিধা। মেসির পজিশন ও তার পজিশন একই হওয়াতে মেসির জন্য জায়গা ছাড়তে গিয়ে নিজের স্বাভাবিক খেলাটা খেলতে পারেন না তিনি। যদি কেউ তার নিজস্ব খেলা খেলতে না পারে তাহলে তার দলে থাকার কি প্রয়োজন?

সাম্পাওলিও হয়তো সেটাই চেয়েছিলেন। দিবালাকে ছাড়াই গিয়েছিলেন ইতালি, স্পেনের মোকাবেলা করতে। কিন্তু বিধি বাম। পরিকল্পনা সফল হলনা। অন্যান্য আক্রমন ভাগের তারকাদের খেলায় গোলের তাড়না শারীরীক ভাবে থাকলেও মাঠে বল পায়ে সেটা দেখাই যায়নি।

এমন মুহুর্তে কি সাম্পাওলি মেসি ও দিবালাকে একই সাথে নতুন ভাবে দেখতে চাইবেন? দিবালাকি পারবে এই সমস্যা সমাধান করতে?