‘শামির বড় ভাই আমাকে ধর্ষণ করেছে’

মোহাম্মদ শমী আহমেদ জয়নগর এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ভারতীয় ক্রিকেটার। তিনি ভারত ক্রিকেট দলের টেস্ট ও একদিনের আন্তর্জাতিকে ক্রিকেট খেলছেন। এছাড়াও, ঘরোয়া ক্রিকেটে বাংলার হয়ে খেলছেন।

মূলতঃ ডানহাতি ফাস্ট বোলার হিসেবেই তার দলে অংশগ্রহণ। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগে কলকাতা নাইট রাইডার্স দলের হয়ে খেলছেন তিনি। গড়ে ১৪০ কি.মি./ঘ বেগে বলকে সুইং ও সীম প্রয়োগে বোলিং করেন যা একজন আদর্শ ফাস্ট বোলারের জন্য অত্যন্ত উপযোগী।

সম্প্রতি, শামির চরিত্রের অনেক গোমর ফাঁস করেছেন স্ত্রী হাসিন জাহান। এর মধ্যে সবচেয়ে স্পর্শকাতর অভিযোগ শামির বড় ভাই হাসিব আহমেদের বিরুদ্ধে, ছোট ভাইয়ের স্ত্রীকে ধর্ষণের।

হাসিনের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে শামির বিরুদ্ধে একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দিয়েছে পুলিশ। মামলাগুলো হলো- স্ত্রী নির্যাতন, মারধর, খুনের চেষ্টা, অপরাধমূলক ভীতি প্রদর্শন, বিষ দিয়ে হত্যার চেষ্টা, অস্ত্র দিয়ে আঘাতের চেষ্টা এবং ধর্ষণ।

ধর্ষণ মামলাটি শামির বিরুদ্ধে নয়, তার বড় ভাই হাসিব আহমেদের বিরুদ্ধে। শুক্রবার (৯ মার্চ) শামির স্ত্রী হাসিন এই অভিযোগটি তুলেছেন। তিনি বলেন, ‘গত বছর যখন আমি উত্তর প্রদেশে শ্বশুর বাড়িতে যাই, স্বামীর বড় ভাই হাসিব আহমেদ আমাকে ধর্ষণ করেন।’

বৃহস্পতিবারই নিজের আইনজীবীকে নিয়ে পুলিশের কাছে হাজির হয়েছিলেন হাসিন। সেখানে তিনি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগে শামির একাধিক নারীর সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের পাশাপাশি শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের কথাও উল্লেখ করেন তিনি।

এর মধ্যে আরেকটি বড় অভিযোগ ছিল, স্ত্রীকে বিষ খাইয়ে মেরে ফেলার চেষ্টা। হাসিন কলকাতা পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগে দাবি করেন, খাবারের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে তাঁকে হত্যার চেষ্টা করেছিল শামির পরিবার। ভাগ্যের জোরে তিনি বেঁচে গেছেন বলে জানান হাসিন।

ঘটনার সূত্রপাত মঙ্গলবার (৬ মার্চ)। যখন হাসিন ফেসবুকে নাগপুরের এক মহিলার ছবি পোস্ট করে তাঁর সঙ্গে কিছু আপত্তিজনক মোবাইল বার্তার আদান-প্রদান তুলে দিয়ে দাবি করেন যে, এই কথোপকথন তিনি শামির মোবাইল থেকে পেয়েছেন। ফেসবুকে হাসিন লেখেন, ‘অনেক সহ্য করেছি। আর নয়।’

এরপর থেকেই একের পর এক বেরিয়ে আসতে থাকে শামির বিতর্কিত কান্ডের খবর। ভারতীয় পেসার যদিও পরে টুইটারে সব অভিযোগকে ‘মিথ্যা’ দাবি করেন। এটাকে ক্যারিয়ার ধ্বংসের ষড়যন্ত্র হিসেবেও উল্লেখ করেন তিনি। এবার স্ত্রীর লিখিত অভিযোগের বিষয়ে শামি বলেছেন, ‘অনেক অভিযোগই তো ও করে চলেছে। সব কিছু প্রমাণ করার দায়ও ওর।’