শেখ হাসিনার ইচ্ছায় খালেদা জিয়া কারাগারে : রিজভী

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ইচ্ছায় কারাগারে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

নয়াপল্টনের বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বুধবার বেলা ১১টার দিকে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।

সে সময় অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমকে প্রশ্ন রেখে রিজভী বলেন, কীভাবে আপনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া আর কারাগার থেকে বের হতে পারবেন না, তাহলে তার পদ কী চিফ জাস্টিসেরও ওপরে?

সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, মনে হয় প্রধানমন্ত্রী বিচার বিভাগকে কব্জায় রাখতে তাকে (মাহবুবে আলম) অসীম ক্ষমতা দিয়ে রেখেছেন। এছাড়া আইনমন্ত্রীও একই কথা বলেছেন। এর মাধ্যমেই প্রমাণ হয় শেখ হাসিনার ইচ্ছায় খালেদা জিয়াকে কারাগারে রাখা হয়েছে।

তিনি বলেন, সরকার যেন মুক্তিপণ আদায় করার জন্যই বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দি করে ধুলিধুসরিত স্যাঁতসেতে পরিত্যক্ত কারগারে আটকে রেখেছে।

রিজভী বলেন, একতরফা নির্বাচন বিপদ মুক্ত করতেই এবং খালেদা জিয়া যেন নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে সেজন্য হীন ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই তাকে কারাগারে রাখা হয়েছে। যাতে তার ওপর চাপ প্রয়োগ করে ভোটারবিহীন নির্বাচনের মুক্তিপণ আদায় করা যায়।

রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রী প্রতিহিংসার আগুনে জ্বলছেন, কারণ খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় কারাগারে রাখার পরও তার জনপ্রিয়তা কমছে না। এটি শেখ হাসিনা সহ্য করতে পারছেন না। তাই খালেদা জিয়াকে তার আইনি অধিকারগুলোও দেয়া হচ্ছে না।

খালেদা জিয়ার ওপর চাপ প্রয়োগ করে কোনো লাভ হবে না জানিয়ে তিনি বলেন, জনগণ বিশ্বাস করে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তার নামে দায়ের করা মামলা রাজনৈতিক, তাকে মিথ্যে মামলার রায়ে কারাগারে পাঠানো রাজনৈতিক, তার জামিন বিলম্ব রাজনৈতিক এমনকি জামিন স্থগিতও রাজনৈতিক।

খালেদা জিয়ার সাজা বাড়াতে দুদকের আপিল প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) হচ্ছে রাতকানা বাদুর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিজস্ব প্রতিষ্ঠান। সাজাপ্রাপ্ত দুই মন্ত্রী আছেন তাদের ব্যাপারে দুদক রাতকানা বাদুড়ের মতো আচরণ করছে। আর খালেদা জিয়া ও বিএনপির পিছনে পড়ে থাকতেই যেন দুদকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আতাউর রহমান ঢালী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, শিশু বিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সভাপতি শামছুল আলম তোফা প্রমুখ।