সর্দি-কাশি সারাতে গরম লোহার ছেঁকা, কোথায় এমন চিকিৎসা পদ্ধতি

চার মাসের শিশুটি বেশ কয়েক দিন ধরেই সর্দি-কাশিতে ভুগছিল। নাম নন্দিনী, বাস রাজস্থানের ভিলওয়াড়ার রাম খেড়া গ্রামে। স্বাস্থ্যের অবনতি হওয়ার ফলে, শেষে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় ভিলওয়াড়ার মহাত্মা গাঁধী হাসপাতালে।

হাসপাতালে নন্দিনীর চিকিৎসা শুরু হলে, জানা যায় যে দু’দিন আগে শিশুটির গায়ে গরম লোহার রড দিয়ে ছেঁকা দেওয়া হয়েছিল। সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, শিশুটির পেটের উপর এমনই দাগ দেখেন হাসপাতালের চিকিৎসকরা।

ছোট্ট নন্দিনীর নিউমোনিয়া ও হার্টের সমস্যা রয়েছে বলে জানিয়েছেন মহাত্মা গাঁধী হাসপাতালের চিকিৎসকেরা। তাকে এখন আইসিইউ-তে রাখা হয়েছে। হাসপাতাল থেকেই পুলিশে জানানো হয়েছে নন্দিনীর পেটেই ওই দাগের ব্যাপারে। এবং মামলা দায়ের করা হয়েছে ‘অজানা অভিযুক্ত’র বিরুদ্ধে। শিশুকল্যাণ কমিটির তরফ থেকেও অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

কুসংস্কারাচ্ছন্ন ভিলওয়াড়াতে এমন চিকিৎসা প্রথা এখনও প্রচলিত বলে জানিয়েছেন পুলিশকর্মী সুনীল চৌধুরি। সহমত পোষণ করেছেন হাসপাতালের চিকিৎসকরাও।

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের মার্চ মাসে একটি ১০ মাসের শিশুকন্যার মৃত্যু হয় এমনই কুসংস্কারের জন্য। জানা গিয়েছে, সে ক্ষেত্রে শিশুটির ঠাকুরদা নিজেই লোহার রড গরম করে তার ‘চিকিৎসা’ করেছিলেন।