সারিকার ফাঁসের জ্বালে আটকা পড়লেন নির্মাতা

নেপালে আসাদুজ্জামান আসাদের পাশাপাশি নির্মাতা দীপু হাজরাও গিয়েছেন একই ইউনিটের সঙ্গে। তাদের সঙ্গে রয়েছেন অভিনয়শিল্পী ইরফান সাজ্জাদ, তানজিন তিশা, জোভান, নাবিলা ইসলাম, তানভীর প্রমুখ। সেখানে ৮টি খণ্ডনাটক, টেলিফিল্ম ও একটি ৭ পর্বের ধারাবাহিক নাটকের শুটিং থাকছে বলে জানা গেছে।

কিন্তু তাদের সাথে যাননি মডেল-অভিনেত্রী সারিকা। গতকাল বুধবার ৩টার ফ্লাইটে এ অভিনেত্রীর নেপাল যাওয়ার কথা ছিল। উদ্দেশ্য ছিল নাটকের শুটিং। কিন্তু সময়মতো নির্মাতা ও অন্যান্য শিল্পী কলাকুশলী উপস্থিত হলেও এয়ারপোর্টে ছিলেন না সারিকা।

শিডিউল ফাঁসানোর অভিযোগ মডেল-অভিনেত্রী সারিকার বিরুদ্ধে নতুন নয়। এর আগেও তার বিরুদ্ধে শুটিং কিংবা শিডিউল ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে। ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই অনেক নির্মাতার শিডিউল ফাঁসিয়ে তিনি তাদের বিপাকে ফেলেছেন। সর্বশেষ গত বছর এপ্রিলে মানিকগঞ্জে রাঙাপরী মেহেদির বিজ্ঞাপনের শিডিউল ফাঁসান তিনি।

ঠিক এক বছরের মাথায় আবারও শিডিউল ফাঁসালেন সারিকা। গতকাল বুধবার ৩টার ফ্লাইটে এ অভিনেত্রীর নেপাল যাওয়ার কথা ছিল। সময়মতো নির্মাতা ও অন্যান্য শিল্পী কলাকুশলী উপস্থিত হলেও এয়ারপোর্টে ছিলেন না সারিকা।

সারিকার এমন অশিল্পী সুলভ আচরণে চরম বিপাকে পড়েন নির্মাতা আসাদুজ্জামান আসাদ। কারণ তিনি সারিকাকে নিয়ে নাটকের শুটিংয়ে নেপাল যাচ্ছিলেন। কোনো উপায় না দেখে শেষ পর্যন্ত সারিকাকে ছাড়াই পুরো টিম নেপাল উড়াল দেয়।

আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, ‘আমি ইউনিটের অন্যদের নিয়ে বিমানবন্দরে অপেক্ষা করছিলাম। ৩টায় ফ্লাইট থাকলেও আমরা সেখানে সকাল ১০টা থেকে উপস্থিত ছিলাম। তখন সারিকার সঙ্গে আমার শেষ কথা হয়। তিনি যথাসময় আসবেন বলে জানিয়েছেন। কিন্তু সময় যত গড়িয়ে যায়, অপেক্ষার পালা শেষ হয় না। একপর্যায়ে আমরা যখন বোর্ডিং নিয়ে ইমিগ্রেশন পার হয়ে যাই, তখনও তার কোনো খবর নেই। ইউনিটের সবাই তাকে ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তাকে তার পারিশ্রমিকের অগ্রিমসহ ভিসা-টিকিট সবই দেয়া হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত সারিকাকে ছাড়াই আমরা নেপালে চলে যাই।’

নির্মাতার করা এমন অভিযোগের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে সারিকার ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বরে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এমনকি মেসেজ পাঠালেও তিনি ছিলেন নিশ্চুপ, কোনো সাড়া দেননি।