সেই বিতর্কিত ভিএআর থাকছে রাশিয়া বিশ্বকাপেও?

শনিবার জুরিখে ইন্টারন্যাশনাল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন বোর্ড (আইএফএবি)র বৈঠক হবে। এই বিলটি সেখানেই হয়তো পাশ হয়ে যাবে। যে ভিএআরে সমর্থন আছে শুধু ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফার বেশিরভাগ কর্মকর্তাদের। ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো তো সবসময় এর পক্ষে।পাশাপাশি সেটি বিশ্বকাপে পরিচিত করতেও উদগ্রীব হয়ে পড়েছে তারা।

২০১৮ বিশ্বকাপ ফুটবলে ভিডিও অ্যাসিসট্যান্ট রেফারি টেকনোলোজি (ভিএআর)তাহলে শেষ পর্যন্ত থাকছে? এখন সেটাই আশা করা যাচ্ছে। রাশিয়ার বিশ্বকাপে রেফারিদের সহায়তা করতে থাকছে এই ভিডিও প্রযুক্তি। যেটি নিয়ে এখনো বিতর্ক চলছে। তবে সব ঠিক থাকলে সেটি বিশ্বকাপে চালু হওয়ার অনুমতি পেয়েই যাচ্ছে।

ভিএআর মুলত ব্যবহার হয় যখন খেলার মাঝে কোনো সংশয় তৈরি হবে তখন চারটি পরিস্থিতিতে এটা ব্যবহারের নিয়ম। কোনো গোলের পর, পেনাল্টির সিদ্ধান্তের ব্যাপারে, সরাসরি লাল কার্ড বা কোনো ক্ষেত্রে ভুল করে ভিন্ন কাউকে কার্ড দেখানোর সংশয় জাগলে। শীর্ষ কয়েকটি ইউরোপিয়ান ফুটবল লিগে এর মধ্যেই এটির আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। জার্মান বুন্দেসলিগা এবং ইতালিয়ান সিরি ‘এ’ তে ভিএআর বা রেফারির সহায়ত ভিডিও প্রযুক্তির ব্যবহার চলছে। পরীক্ষামূলকভাবে চলছে আরো কিছু লিগে। এ নিয়ে মতামত বিভক্ত। মিশ্র প্রতিক্রিয়া।

এ বিষয়ে ইউরোপিয়ান ফুটবল সংস্থার প্রেসিডেন্ট আলেকসান্দার সেফেরিন বলেছেন, তাদের ফুটবল সংস্থা এই ভিএআরকে আগামী মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে চালু করবে না। কারণ, এটি ব্যবহার নিয়ে খুব সংশয় রয়ে গেছে। আরো অনেক বিশেষজ্ঞের মতে, এই ভিডিও অ্যাসিসট্যান্ট খেলার গতি কমিয়ে দেয়, রাশ টেনে ধরে। সত্যিকারের ছন্দ নষ্ট হয়। কোনো দলের মোমেন্টামেরও ক্ষতি হয়।

তবে ফিফা মনে করে, বিশ্বকাপ ফুটবলের মতো আসর সব ধরনের বিতর্কমুক্ত রাখতে যা যা করার তা করতেই হবে। সেই কারণেই তারা রাশিয়া বিশ্বকাপে এই ভিএআর চালু করার পক্ষে। এর সাথে কেউ কেউ উদাহরণ হিসেবে টেনে আনেন ১৯৮৬ বিশ্বকাপের কথা। যে আসরে ইংল্যান্ডকে আর্জেন্টিনার হারানোর পেছনে নিয়ামক হিসেবে কাজ করেছিল ডিয়েগো ম্যারাডোনার ‘হ্যান্ড অব গড’ গোলটি। পরে আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ জিতেছিল। কিন্তু বিতর্কটা ফুটবল ও বিশ্বকাপ যতোদিন আছে ততদিন থাকবে বলেই মনে করা হয়।