সেদিন কি ঘটেছিল বাংলাদেশের ড্রেসিংরুমে?

জাতীয় দলের ক্রিকেটার আরিফুল হক তার প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন, বাংলাদেশ ক্রিকেট দল ভারতের বিপক্ষে শেষ বলে হেরে গিয়ে মাঠই হতাশায় ভেঙ্গে পড়ে। ড্রেসিংরুমেও এই ঘটনার প্রতিফলন ছিল তীব্র।

অলরাউন্ডার আরিফুল বলেন, এমন কোনো পরিস্থিতি তার জীবনে প্রথম। স্বভাবতই সবাই অনেক হতাশ ছিল। সবার চোখে জল ছিল। তবে ড্রেসিংরুমের পরিবেশে অনেকেই আশার বাণী জানিয়েছেন এই হারেও প্রাপ্তি রয়েছে। আমরা হেরেছি কিন্তু হারার মতো হেরেছি, একটা ফাইনাল ম্যাচ যেমনটা হওয়ার কথা ঠিক তেমনই হয়েছে।’

তবে টিম ম্যানেজমেন্ট বেশ সাপোর্ট দিয়েছে বলে জানিয়েছেন আরিফুল। অনেকে এমন বলেছেন যে, এভাবে ম্যাচ জিতেই ফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ। ঠিক সেভাবেই হারলো। এটাই ক্রিকেটের সৌন্দর্য্য। ম্যাচের পর ভারপ্রাপ্ত হেড কোচ কোর্টলি ওয়ালশ দলকে উজ্জীবিত করার চেষ্টা করেছেন।

আরিফুলের ভাষ্যে ওয়ালশ বলেন, ‘পুরো টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ যে দুটি ম্যাচ জিতেছে তাতে চ্যাম্পিয়ন হওয়া অসম্ভব ছিল না। আর কার্তিক যে ইনিংসটি খেলেছে সেটা অবিশ্বাস্য। সেই বলে এমন টাইমিং নাও হতে পারতো। এটা একটা শিক্ষণীয় ম্যাচ। মানসিক প্রস্তুতির ম্যাচ। এমনও সময় এসেছে মনে হয়েছে বাংলাদেশ জিতেই গেছে। কিন্তু সেখান থেকেও প্রস্তুত থাকতে হবে। ক্রিকেট খেলাটাই এমন যে যেকোনো সময় ম্যাচের মোড় বদলাতে পারে।

নিদাহাস ট্রফি আরিফুল হকের জন্য জাতীয় দলের সাথে প্রথম আন্তর্জাতিক সফর। যদিও ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি। তবুও জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের সাথে ড্রেসিংরুম শেয়ার করার ব্যাপারটি বড় করে দেখছেন তিনি।

এই সিরিজে বাংলাদেশ বেশ কয়েকবার কঠিন পরিস্থিতিতে পড়েছে। যেখান থেকে দুবার ম্যাচ বের করে এনেছে দল। এমন কঠিন পরিস্থিতিতে কী করণীয় সেটা মুশফিক-রিয়াদকে স্বচক্ষে দেখেছেন ও মুখেও শুনেছেন আরিফুল।