স্ত্রী হাসিনকে পেতে মরিয়া সামি! জানালেন বিশেষ সাক্ষাতকারে

ভারতীয় তারকা ক্রিকেটার মুহাম্মদ সামির বিরুদ্ধে একের পর এক তোপ দেগে চলেছেন স্ত্রী হাসিন জাহান। মুহাম্মদ সামি অবশ্য এখনও সমাধানের আশা ছেড়ে দিচ্ছেন না। শুক্রবার রাতে উত্তর প্রদেশের গ্রামের বাড়ি থেকে মোবাইল ফোনে সাক্ষাৎকার দিলেন জাতীয় দলের তারকা পেসার। বললেন, মেয়ে আইরা’র ভবিষ্যতের কথা ভেবেই তিনি চিন্তিত।

প্রশ্ন: কোথায় আছেন?

মুহাম্মদ সামি: মোরাদাবাদের আমরোহায়। গ্রামের বাড়িতে।

প্রশ্ন: স্ত্রী হাসিনের সঙ্গে আচমকাই কি সম্পর্কের অবনতি হল?

সামি: দেখুন, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি, ঝগড়াঝাটি সব পরিবারেই হয়। সেটা খুব স্বাভাবিক। ভুল বোঝাবুঝি যা-ই হয়ে থাকুক না কেন, সেটা তো আমাদের দু’জনের বসে মিটিয়ে নেওয়া উচিত। অথচ আমাদের ঝামেলায় বাইরের লোক ঢুকে পড়েছে। মজা নিচ্ছে। পরিবারকে ফালতু কলঙ্কিত করছে। এই ব্যাপারটা বন্ধ হোক এবার। স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া বাড়িতে বসে মিটিয়ে নেওয়া হলে তার চেয়ে ভাল আর কী-ই বা হতে পারে!

প্রশ্ন: প্রথমে ফেসবুকে, পরে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে হাসিনের একের পর এক বোমা ফাটানো নিয়ে কী বলবেন?

সামি: হাসিনকে নিয়ে কোনও অভিযোগ নেই আমার। ও আমাকে ভীষণ ভালবাসে। সেটা আমি জানি। বুঝলেন? শুধু এটুকুই বলব, এটা আমাদের পারাবারিক ব্যাপার। আমরা দু’জন এবং পরিবারের বাকি সদস্যেরা মিলে বসে আলোচনা করব। আর ইনসাল্লাহ, যদি আল্লাহ চান, সব কিছু আগের মতোই স্বাভাবিক হয়ে যাবে।

প্রশ্ন: সংবাদমাধ্যমে আপনি অভিযোগ করেছিলেন যে, হাসিনকে কেউ বা কারা প্ররোচনা দিচ্ছে…

সামি: এ নিয়ে কিছু বলতে চাই না। শুধু বলব, যতদিন না একে অপরের সঙ্গে কথা বলছি, কিছুই মিটমাট হবে না। একজন বলে যাবে, আর একজনের সঙ্গে তার কোনও কথা হবে না, এভাবে হয় নাকি? দু’জন মিলে বসে আলোচনা করলেই পরিস্থিতি সহজ, স্বাভাবিক হয়ে যাবে। আমাদের সম্পর্ক ঠিক হয়ে যাবে।

প্রশ্ন: হাসিন এবং তাঁর আইনজীবী বলছেন, মিটমাটের জন্য যোগাযোগ করার কথা বলেও আপনি আর ফোন করেননি। আলোচনায় বসার উদ্যোগ দেখাননি। সেটা কি ঠিক?

সামি: হাসিন এবং ওর আইনজীবীর মোবাইল ফোনের কলরেকর্ড বার করুন। উত্তর পেয়ে যাবেন। আর আমার চারজন পরিচিত ওখানে ( কলকাতায়) গিয়েছে। ও নিজেই তাদের ডেকেছিল। যদি সামনাসামনি বসে আলোচনা করে মিটিয়ে নিতে চাও, তাহলে আলোচনার টেবিলে বসো। আমি মিটমাট করতে তৈরি। যদি কেউ ভুল করে থাকে তাহলে বাড়ির সকলে মিলে সেটা সংশোধন করে নেওয়া যায়। তাতে আর এমন কী সমস্যা!

প্রশ্ন: হাসিন শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠক করে বলেছেন, আপনার তিন আত্মীয় ফোন করলেও তিনি ধরেননি। কারণ, তাঁদের কাউকেই নাকি বিপদের সময় পাশে পাননি?

সামি: তাহলে কী করে ও বলে আমি যোগাযোগ করার চেষ্টা করিনি? শুধু তাই নয়, আমি তো ঋদ্ধিমানকে দিয়েও ফোন করিয়েছিলাম ওকে। ঋদ্ধিমানের কলরেকর্ড দেখুন। ও ফোন করেছিল। কিন্তু কেউ যদি কথা বলতেই না চায়, তাহলে কী করে সমাধান হবে! ফের আমি বলব, স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া বাড়ির মধ্যেই মিটে গেলে ভাল হয়। পারিবারিক গোপনীয়তা বলেও একটা ব্যাপার আছে। এখানেই বিতর্ক থামুক।

প্রশ্ন: মেয়ে আইরাকে কি এই ঝামেলায় সবচেয়ে বেশি কষ্ট পেতে হচ্ছে না?

সামি: সন্তানদের মুখের দিকে তাকিয়েই একজন মানুষ বাঁচে। সন্তানদের সুখের জন্যই এত পরিশ্রম, দৌড়াদৌড়ি। সন্তানের কিছু হলে মনে হয় মরেই গেলাম। বাচ্চার ভবিষ্যতের কথা ভেবেই আমি মিটমাটের চেষ্টা করছি। আইরার সামনে এখনও পুরো জীবনটা পড়ে রয়েছে। কী-ই বা বয়স ওর! মা-বাবার বিচ্ছেদ হয়ে গেলে বাচ্চার জীবন খুব কষ্টকর হয়ে যায়।

প্রশ্ন: কলকাতায় কবে ফিরছেন?

সামি: আমি যে কোনও দিন কলকাতায় ফেরার জন্য প্রস্তুত। যে কোনও ব্যাপারে কথা বলতেও তৈরি।