স্মিথদের লঘু শাস্তিতে, আইসিসিকে কঠোর সমালোচনা বিশ্ব ক্রিকেটারদের

ক্রিকেট দুনিয়ার এখন সবচেয়ে আলোচনার ঝড় বৈছে বল টেম্পারিং বিতর্ক নিয়ে। বল টেম্পারিং অভিযোগে অধিনায়ক হিসেবে স্মিথ এক ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন ও তার ম্যাচ ফি পুরোটাই কাটা গেছে। অন্যদিকে আরেক খেলোয়াড়কে শাস্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইসিসি।

অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার ক্যামেরন ব্যানক্রফটের বল টেম্পারিং বিতর্কের কারণে ব্যানক্রফটের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলেও তার শুধু ম্যাচ ফি’র ৭৫ শতাংশ কাটার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইসিসি।

বল টেম্পারিং বিতর্কের যে শাস্তি দিল আইসিসি তাতে সাবেক ক্রিকেটাররা মনে করছে এতো বড় অপরাধে কেন লঘু শাস্তির বিধান দিল ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থাটি, সেটি নিয়েই সমালোচনা চলছে ক্রিকেটবিশ্বে। এদিকে আইসিসির এমন কাণ্ডে আইসিসিকে ‘মেরুদণ্ডহীন’ এমনকি ‘ভীতু’ বলে সাবেক ক্রিকেটাররা।

ভারতের সাবেক স্পিনার হরভাজন সিং টুইট পোস্ট করে অতীতের কথা স্মরনণ করিয়ে দেন। টুইটে তিনি মনে করিয়ে দেন যে ২০০১ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরকালে আম্পায়ারকে অতিরিক্ত আবেদন করার জন্য শাস্তি পেয়েছিলেন ৬ ক্রিকেটার। আর ২০০৮ সালে অ্যান্ড্রু সাইমন্ডসের সঙ্গে মাঙ্কিগেট তো সকলেরই জানা। এই দুটি ঘটনারই উল্লেখ করেন হরভজন।

অন্যদিকে প্রতারণার জন্য আইসিসির হৃদয়স্পর্শী শাস্তি! এমন মশকরা করে টুইট করেছেন সাবেক ইংলিশ অধিনায়ক মাইকেল ভন।

ভনের সাবেক সতীর্থ কেভিন পিটারসন বলেছেন আইসিসি একটি দুর্বল সংস্থা। এছাড়া গ্রায়েম ফ্লাওয়ার ম্যাট প্রিয়রদের মতো সাবেক ইংলিশ ক্রিকেটাররা সংস্থাটির বিপক্ষে কঠোর সমালোচনা করেন।

এদিকে আইসিসির প্রধান নির্বাহী ডেভিড রিচার্ডসন বলেছেন, অস্ট্রেলিয়া দলের সিনিয়র সদস্যদের সিদ্ধান্তে এই কাজ হয়েছিল, যা ক্রিকেট খেলার নীতিবিরোধী।

অন্যদিকে ব্যানক্রফট স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি আইসিসির ব্যবহারবিধির ২.২.৯ নম্বর ধারা ভেঙেছেন। এতে ৪১.৩ ধারায় বলের অবস্থার পরিবর্তনের মতো মারাত্মক কাজ করেছেন।

উল্লেখ্য, দক্ষিণ আফ্রিকা বনাম অস্ট্রেলিয়ার তৃতীয় টেস্ট চলাকালীন শনিবার হলুদ কাগজের মতো বস্তু দিয়ে বল ঘষা হয়েছিল। যেটি নিজের ট্রাউজারের পকেটে নিয়ে মাঠে গিয়েছিলেন এই অজি ক্রিকেটার। বিষয়টি তিনি লুকানোর চেষ্টাও করেছিলেন।