হোয়াইট হাউজের সামনে মাথায় গুলি করে ……….

শনিবার হোয়াইট হাউজের সামনে এক ব্যক্তি মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে আত্মহত্যা করেছে। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিক্রেট সার্ভিসের একজন মুখপাত্রের বরাত দিয়ে এমন খবর প্রকাশ করে সিএনএন বলেছে ওয়াশিংটনে হোয়াইট হাউজ বাইরে এক ব্যক্তি নিজেকে নিজে গুলি করেছেন।

মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিক্রেট সার্ভিস এক টুইটে জানায়, হোয়াইট হাউজের উত্তরাংশে এক ব্যক্তি নিজের গুলির আঘাতে আহত হয়েছে এমন খবরে কাজ করে যাচ্ছে সিক্রেট সার্ভিস।

সিক্রেট সার্ভিসের একজন মুখপাত্র বলেন, ওই ব্যক্তি বেড়ার সামনে এসে হ্যান্ডগান বের করে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে। তবে এগুলোর কোনোটিই হোয়াইট হাউজকে লক্ষ্য করে ছিল না।

তবে কী কারণে ব্যক্তিটি এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা সম্পর্কে এখনো কিছু জানা যায়নি বলে জানিয়েছে মার্কিন কর্তৃপক্ষ।

এর আগে চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি একটি কার হোয়াইট হাউজের নিরাপত্তা বেস্টনী ভেদ করে ঢুকে যেতে চেয়েছিলেন। সে ঘটনায় ৩৫ বছরের এক নারীকে গ্রেফতার করা হয়।

সাম্প্রতিক বছরে হোয়াইট হাউজকে কেন্দ্র করে এ ধরণের ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। গত বছরের মার্চে অস্ত্রধারী এক ব্যক্তি পিপার স্প্রে সহ নিরাপত্তা বেষ্টনী পেরিয়ে ভিতরে প্রবেশ করে ১৬ মিনিট অবস্থান করেছিলেন।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটি সূত্র জানিয়েছে, নিজেকে আহত করার আগে নিজের মোবাইল ফোনে গুলি চালায় ওই ব্যক্তি। সেখান থেকে আত্মহত্যার বিষয়ে কোনো চিরকুট পাওয়া যায়নি। তবে ঘটনাস্থল থেকে একটি বই পাওয়া গেছে, যেখানে অসামঞ্জস্যপূর্ণ বাক্য রয়েছে।

সিক্রেট সার্ভিসের ওই মুখপাত্র বলেন, ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। আর এ ঘটনায় কেউই আহত হয়নি।

সিক্রেট সার্ভিসের মুখপাত্র ক্যাথি মিলহোয়ান বলেছেন, ওই ব্যক্তি একটি গুলির আঘাতে মারা গেছে। সিক্রেট সার্ভিসের কর্মকর্তারা তার দিকে কোনো গুলি ছোঁড়েনি।

এদিকে ওই ঘটনার সময় প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প ফ্লোরিডার মার-আ-লাগোতে ছিলেন। তবে বার্ষিক গ্রিডিরন ক্লাব ডিনারে অংশ নিতে শনিবারই তাদের হোয়াইট হাউজে ফেরার কথা ছিল।

হোয়াইট হাউজের ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি হোগান গিডলে বলেছেন, আমরা ওই ঘটনা সম্পর্কে অবগত আছি। প্রেসিডেন্টকে এ বিষয়ে ব্রিফ করা হয়েছে। কিন্তু বিস্তারিত তথ্যের জন্য সিক্রেট সার্ভিসের সঙ্গে যোগাযোগ করতে অনুরোধ জানাচ্ছি।