অনুষ্টিত শার্শা থানা পুলিশের মাদক ও সন্ত্রাস নির্মূলে জনসমাবেশ

বেনাপোল প্রতিনিধিঃ চলো যায় যুদ্ধে মাদকের বিরুদ্ধে এই স্লোগান সামনে নিয়ে আজ রবিবার সকাল ১০টায় স্থানীয় শার্শা থানা অডিটরিয়মে মাদক ও সন্ত্রাস নির্মূলে জনসমাবেশ করে শার্শা থানা পূলিশ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-বীর মুক্তিযোদ্ধা মো:আব্দুল মাবুদ (পিপিএম)।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তারা হলেন–মো: আনিসুর রহমান, বিপিএম, পিপিএম(বার), পুলিশ সুপার, যশোর, মো: সিরাজুল হক মঞ্জু,সভাপতি, চেয়ারম্যান উপজেলা পরিষদ শার্শা, মো: আশরাফুল আলম লিটন, মেয়র বেনাপোল পৌরসভা, পূলক কুমার মন্ডল-নির্বাহী অফিসার, শার্শা উপজেলা, ইব্রাহীম খলিল-সাংগঠনিক সম্পাদক, শার্শা,উপজেলা,আওয়ামীলীগ, আলহাজ্ব নুরুজ্জামান- সাধারন সম্পাদক, শার্শা উপজেলা, শৃঙ্খলা, নিরাপত্তা, প্রগতি এই তিনটি ব্রতি নিয়ে যাদের পথচলা সেই পুলিশ বাহিনীর পক্ষ থেকে শার্শা থানা পুলিশ আজ এগিয়ে এসেছেন “মাদক জঙ্গির প্রতিকার বাংলাদেশ পূলিশের অঙ্গিকার” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই শার্শা থানার পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়–প্রধান অতিথি ও বিশেষ অথিতিদেরকে। পবিত্র কুরআন তেলোয়াতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের কার্যক্রম শুরু করা হয়। এরপর যশোর জেলা পুলিশের মাদক বিরোধী ” জিরো টলারেন্স ” নীতির উপর স্বাগতিক বক্তব্য উপস্থাপন করেন শার্শা থানার অফিসার ইনচার্জ মো: মশিউর রহমান।

স্বাগতিক বক্তব্যের পর মঞ্চে উপবিষ্ঠ বিশেষ অতিথি গন একে একে তাদের বক্তব্যে মাদক নির্মুলে করনিয় দিক নির্দেশনা উপস্থাপন করেন, মাদক পরিবার সমাজ ও রাষ্ট্রেকে ধ্বংস করে,এটা নির্মুলে পুলিশের এ ধরনের কার্যক্রমকে সাধুবাদ জানিয়ে খেলাধুলা এবং বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রমের মাধ্যমে মাদক নির্মুলে ব্যপক ভুমিকা রয়েছে। যশোর জেলার পুলিশ সুপার মো: আনিসুর রহমান, বিপিএম, পিপিএম(বার) তার বক্তব্যে মাদকের বিরুদ্ধে যশোর জেলা পুলিশের গৃহীত কর্মসূচী অনুষ্ঠানে তুলে ধরেন।

জনগনের মাঝে মাদক ও মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে গনজাগরন সৃস্টি করে তাদেরকে সামাজিকভাবে বয়কট করা সাথে সাথে তিনি এও বলেন, যশোর জেলা পুলিশ নিজ উদ্যোগে যশোর জেলার মাদকাসক্তদের বিনামূল্যে সু- চিকিৎসা প্রদান কর্মসুচী হাতে নিয়েছে।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মাবুদ বলেন, মাদক ও সন্ত্রাস নির্মুলে পুলিশের পাশাপাশি সমাজের প্রতিটি স্তরে এ ধরনের সভা সমাবেশ চালু রাখতে হবে। যাতে করে মাদক আপনার ব্যক্তিসত্ত্বা,কর্মক্ষমতা,সৃজনশীলতা,বন্ধুত্ব ও পরিবারকে ধ্বংস করে না দেয়। প্রধান অতিথি শার্শা উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের প্রত্যেক চেয়ারম্যান গনকে গ্রাম-পর্যায়ে মাদক ও সন্ত্রাস নির্মূলে জনসমাবেশ করার বিশেষভাবে অনুরোধ জানান।