কিশোরগঞ্জে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ন -২ প্রকল্প থেকে ঘর পেয়ে খুসিতে আত্মহারা ৭৯০ টি পরিবার

কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) সংবাদদাতাঃ নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার বাহাগিলি ইউনিয়নের উত্তর দুরাকুটি পশ্চিমপাড়া গ্রামের মশিয়ার রহমান পেশায় ভ্যান চালক, দুই সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে তৈরী করা ছোট্ট একটি ছাপড়া ঘরে যার বসবাস । স্বপ্ন ছিল ওই জমিতে একটি ঘর নির্মাণ করবেন। কিন্তু নুন আনতে যার পানতা ফুরায় তাঁর আবার স্বপ্ন পুরুন।

কিন্তু সত্যি সত্যি তার স্বপ্ন পুরনে এগিয়ে এসেছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ন প্রকল্প ২ এর আওতায় সবার জন্য বাসস্থান প্রতিশ্রতি যার জমি আছে ঘর নেই তাঁর নিজ জমিতে গৃহনির্মাণ প্রকল্পের আওতায় নাম দেয় সরকার। ২৯৭ বর্গ ফুটের সেমিপাকা স্বপ্নের সে ঘরখানা পায় চলতি বছরের এপ্রিল মাসে।

তাই মশিয়ার- মমিনা দম্পত্তি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু কামনা করে দোয়া মিলাদ দিয়ে নবনির্মিত গৃহে উঠেছেন। বড়ভিটা ইউনিয়নের টটুয়ার ডাংগা গ্রামের ভারসাম্যহীন হাসিনা বেগম । ছিল পেশায় একজন ভিক্ষুক। ২০১৪ সালে কিশোরগঞ্জ উপজেলাকে ভিক্ষুকমুক্ত ঘোষনার পর ভিক্ষকদের পুনর্বাসনের প্রক্রিয়া শুরু হলে তাঁকে পুর্ণবাসিত করা হয়।

সেই হাসিনা বেগম ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ন -২ প্রকল্প থেকে মাথা গোজার ঠাই হিসেবে ঘর ও ল্যাট্রিন পেয়ে খুসিতে আত্মহারা হয়েছেন। এরকম ঘর পেয়েছেন কিশোরগঞ্জ সদর ইউনিয়নের সজির মামুদের পুত্র জাম্মাত হোসেন, জাহেদা বেগম, রনচন্ডী ইউনিয়নের বাফলা গ্রামের অমিছা বেগম, মাগুড়া ইউনিয়নের উত্তর সিঙ্গেরগাড়ী গ্রামের আলেমা বেগমসহ শত শত অসহায় দরিদ্র ও হত দর্রিদ্র পরিবার।

উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় সুত্রে জানা গেছে, সবার জন্য বাসস্থান প্রতিশ্রতি যার জমি আছে ঘর নেই তাঁর নিজ জমিতে গৃহ নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ-২ প্রকল্প হতে কিশোরগঞ্জ উপজেলায় ২০১৭-১৮ অর্থ বছরের ১শ ঘর নিমার্ণসহ সর্বমোট ৭৯০ জন অসহায়, দরিদ্র ও পুণবাসিত ভিক্ষুক ঘর পেয়েছেন।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও ঘর নিমার্ণ কমিটির সদস্য সচিব মোফাখখারুল ইসলাম জানান- উপজেলায় পুনর্বাসিত ভিক্ষুকদের অনুকুলে ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে দু’ দফায় ৫০ টি করে ১শ টি ঘর নিমার্ণের জন্য ঘর প্রতি ১ লক্ষ টাকা বরাদ্দ আসে। আমরা কমিটির মাধ্যমে ঘর নিমার্ণ কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন করেছি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম মেহেদী হাসান জানান- পুনর্বাসিত ভিক্ষুকরা পুনর্বাসনের পর ঘর পেয়ে আরও স্বাবলম্বী হয়ে উঠছে। বর্তমান সরকারের আমলে এ উপজেলায় ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরের ১শ সহ মোট ৭৯০ জন অসহায় দরিদ্র ও পুনর্বাসিত ভিক্ষুক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হতে ঘর পেল।