গাসিক নির্বাচন নিয়ে জনমনে সংশয় রয়েছে

গাজীপুর সিটি করপোরেশন (গাসিক) নির্বাচনের ওপর নির্ভর করছে সিলেট, রাজশাহী ও বরিশাল সিটি নির্বাচন কেমন হবে মন্তব্য করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, কিন্তু অবস্থাদৃষ্টে মনে হয় বর্তমান নির্বাচন কমিশন দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে জনমনে সংশয় রয়েছে।

তারা বলেন, দলীয় সরকারের অধীনে যে সুষ্ঠু ও নিরপে নির্বাচন সম্ভব নয় তা বর্তমান নির্বাচন কমিশন প্রমাণ করেছে। নির্বাচন কমিশনের মতো একটি সাংবিধানিক পদে থেকে আজ্ঞাবহ নির্বাচন করা নিজের পদটিকে কলঙ্কিত করার নামান্তর। বর্তমান নির্বাচন কমিশন অধীনে কয়েকটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। খুলনা সিটি নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি, ভোট ডাকাতি ও কেন্দ্র দখলের মতো ঘটনা ঘটেছে। তারা দেশবাসীকে সুষ্ঠু ও নিরপে নির্বাচন উপহার দিতে ব্যর্থ হয়েছে।

নেতৃদ্বয় বলেন, গাজীপুর নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত ও ২০ দলীয় জোট সমর্থিত মেয়র প্রার্থি হাসান সরকারের অসম্ভব জনসমর্থন রয়েছে। এই নির্বাচন হলো সরকার ও নির্বাচন কমিশনের জন্য টেস্ট। যদি খুলনা স্টাইলে নির্বাচন করা হয় তার পরিণতি হবে ভয়ংকর। গাজীপুর নির্বাচনের পর আমরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব যে বাকি তিনটি সিটি নির্বাচনে বিরোধী দলগুলো অংশ নেব কি না।

নির্বাচন কমিশনের ওপর আস্থা রাখা যায় না উল্লেখ করে নেতৃদ্বয় বলেন, বিএনপির সাবেক চিফ হুইপকে পেটানোর পরও গাজীপুরের এসপি হারুনের প্রমোশন হয়েছে। তাকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি করলেও নির্বাচন কমিশন সেটা করেনি। যে নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে একজন এসপিকে বদলি করতে পারে না, সে কমিশনের ওপর কিভাবে মানুষ আস্থা রাখবে।

নেতৃদ্বয় ২৬ জুন গাজীপুরের ভোটারদের ধানের শীষে ভোট দেয়ার আহ্বান জানিয়ে ভোট কেন্দ্র পাহাড়া দেবার আহ্বান জানান।