গোপালগঞ্জের বশেমুরবিপ্রবির সিএসই বিভাগের সভাপতি আক্কাছ আলীর অপরাধের সাতকাহন

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : সিএসই বিভাগ বশেমুরবিপ্রবির অবৈধ সভাপতি আক্কাছ আলীর হাজারো দুর্নীতি অভিযোগ রয়েছে। তার বিরুদ্ধে জেষ্ঠ্য শিক্ষক মো: জামাল উদ্দিনকে ডিঙিয়ে বিভাগের সভাপতি হওয়ার পর সিএসই বিভাগকে একাডেমিক ভাবে পংগু করে নিজের অযোগ্যতা ঢাকার মিশনে নেমেছেন আক্কাছ আলি।

সিএসই বিভাগের চেয়ারম্যান হয়েই তিনি প্রথম ঝাপিয়ে পড়েন নিরীহ ছাত্রদের উপর। বিভাগের ১ম ও ২য় ব্যাচের ছাত্ররা তার অনিয়মের বিরুদ্ধে কথা বললেই সে ক্ষিপ্ত হয়ে উভয় ব্যাচের প্রথম সারির ছাত্রদের প্রায় সবার ফলাফলে ধ্বস নামান এসাইনমেন্ট, প্রেজেন্টেশন, মিডটার্ম ও এটেন্ডেন্স এ সর্বনিম্ন নম্বর (৪০ এর মধ্যে ৯-১৫) দিয়ে অথচ তারা সবাই বিভাগে সব ক্লাশ ও পরিক্ষাসহ সব কাজ সবচেয়ে ভাল ভাবে করা শিক্ষার্থী।

এমনকি থিওরি পরিক্ষায় বিগত সকল সেমিস্টার গুলোতে ১ম ও ২য় স্থান অধিকারকারী কয়েকজন ছাত্রকে কয়েকটি বিষয়ে ফেল করান নিজে ও নিজের অনুগত অভ্যন্তরীণ ও বহিরাগত শিক্ষকদের দিয়ে খাতা মুল্যায়ন করে। সেই অন্যায়ের প্রতিবাদের খেসারত দিতে গত সেমিস্টারেও রিটেক পরীক্ষা দিতে হয় কয়েকজন সেরা মেধাবিকে যারা এক সময় স্বপ্ন দেখত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়ার কিন্তু এখন তারা শুধু পাস করে বের হওয়া নিয়েও আশাবাদী হতে ভয় পায়।

একই সাথে পরিক্ষায় নকলরত অবস্থায় ধরাপরা তার অনুগত ছাত্রের একই সেমিস্টারের পরবর্তী পরীক্ষা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্যমান শৃঙ্খলাবীধি লঙ্ঘনে এসিসিই বিভাগের সভাপতি ড. দেবব্রত পালের পাশাপাশি নিজের নাম লিখিয়ে নিজের অনৈতিক শক্তির প্রদর্শন করেন তিনি ক্লাশ রুমে সিসি টিভি বসিয়ে প্রতি মুহূর্ত জেল খানার কয়েদিদের মত চাপে রাখেন ওই সব অসহায় ছাত্রদের।

শুধু তাই নয় বাংলাদেশের একমাত্র ও এশিয়ার দ্বিতীয় বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে নাসা-ইউএসএ’র ইন্টেলিজেন্টে ড্রোন সফটওয়্যার প্রতিযোগিতায় মাথা উচু করে টিকে থাকা সিএসই বশেমুরবিপ্রবির টিম এর উপরও অহিং¯্র চিতার মত ঝাপিয়ে পড়েন শিক্ষক আক্কাছ আলি। নানা লাঞ্ছনা-ব নার পর অবশেষে ভিসি সাহেবের সহযোগীয় সফল ভাবে ইন্টেলিজেন্টে ড্রোন প্রজেক্টটি বন্ধ করে দিয়ে সন্তানতুল্য ছাত্রদের উপর নগ্ন প্রতিশোধ নেন শিক্ষক নামের কলঙ্ক আক্কাছ আলি।

ফলে বঙ্গবন্ধুর পবিত্র ভূমিতে চোখের জল ফেলে বিদায় নেয় এক সময় নাসার বুকে ও মহাকাশে বঙ্গবন্ধুর নাম লেখার স্বপ্নে উজ্জীবিত শিক্ষার্থীরা। যাদের বছরের পর বছর রাত-দিনের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে ইন্টেলিজেন্টে ড্রোন প্রজেক্ট ও অত্র বিশ্ববিদ্যালয় তথা সিএসই বিভাগের ওয়েব সাইট আলোর মুখ দেখেছিল তাদের (ছাত্র-শিক্ষক) সবার নাম মুছে দিয়ে নিজের নাম ও অনুগত আর দুজন শিক্ষকের নাম দেন নিজ বিভাগের ওয়েব সাইটে।

এ ছাড়াও বিভাগের শিক্ষকরাও বাদ পরেনি শিক্ষক আক্কাছ আলি ছোবল থেকে। পরিক্ষার প্রশ্ন মডারেশন, পরিক্ষা ডিউটি, ক্লাশ রুটিন, নৈম্যত্তিক ছুটিসহ অনেক বিষয়ে তার অন্যায়ের প্রতিবাদকারি শিক্ষকদের হয়রানি করতে থাকেন অবৈধ সভাপতি আক্কাছ আলি। এবার নিজের সুবিধা নেয়ার পালা।

নিজের এম.এস.সি (মাস্টার্স সিএসসি যা তিনি বুয়েট থেকে শেষ করতে ব্যর্থ হন) সম্পন্ন করার জন্য নিজ বিভাগেই (যেখানে তখনো মাস্টার্স কার্যক্রম চালুই হয়নি) নিজেই নিজের ছাত্র, শিক্ষক, পরিক্ষার্থী ও পরিক্ষকের ভুমিকায় নাযিল হন এবং সফল ভাবে কোন ক্লাশ, এসাইনমেন্ট, মিডটার্ম, প্রেজেন্টেশন ছাড়াই নিজে প্রশ্ন করে, পরিক্ষা দিয়ে, খাতা মুল্যায়ন করে অত্যন্ত সফল ভাবে মাস্টার্স ডিগ্রী লাভ করেন যা বাংলাদেশের তথা বিশ্বের ইতিহাসে প্রথম। তার এ সকল অনৈতিক কাজ সম্পন্ন করতে তাকে কোন অসুবিধায় পড়তে হয়নি তাকে অনৈতিক ভাবে সভাপতি বানানোসহ অনেক অনৈতিক সুবিধা প্রদানকারি ভিসি প্রতি একান্ত অনুগত থাকার জন্য।