গোপালগঞ্জে চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে দোকান ঘর ও জমি দখলে অভিযোগ

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি: গোপালগঞ্জে চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে দোকান ঘর ও জমি দখলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সদর উপজেলার সাতপাড় পশ্চিমপাড়া গান্ধিয়াশুর বাজার নামক স্থানে স্মৃতি ভক্ত ও বৌলতলী ইউপি চেয়ারম্যান সুকান্ত বিশ্বাসের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে দোকান ঘর ও জমি দখলে অভিযোগ পাওয়া যায়। বৃহস্পতিবার সন্ধায় দোকান ঘর দখলের জন্য ভাংচুর করে তারা।

প্রত্যক্ষ দর্শী ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, সাতপাড় পশ্চিমপাড়া বাবু কীর্ত্তনীয়া পৈত্রিক জমি তার জামাতা মনোরঞ্জন বালার ছেলে মিন্টু বালাকে দোকান ঘর করার জন্য চুক্তিপত্র দেয়। সেই চুক্তিপত্র পাওয়ার পরে সেখানে মিন্টু বালা দোকান ঘর করে ব্যাবসা করে আসছে। সাতপাড় পশ্চিমপাড়া নকুল ভক্তের স্ত্রী স্মৃতি ভক্ত তার কথিত প্রেমিকের সূত্রে ওই দোকান ঘর দাবী করে।

এ ব্যাপারে স্মৃতি ভক্ত বলেন, আমি এক সময় যাত্রা গান করতাম সেই সময় বেদভীটা গ্রামের প্রমথ বাকচীর সাথে আমার প্রেম হয়। তখন তিনি এই দোকান ঘরে ভাড়াটিয়া ছিলেন। সেই সময় প্রমথ বাকচী আমাকে বাবু কীর্ত্তনীয়ার কাছ থেকে এই ঘর ও জমি ক্রয় করে দেয়। আমার সেই লিখিত চুক্তিপত্র ইদুরে নষ্ট করে ফেলেছে যার কারনে আমার কাছে কোন কাগজ নেই। তবে সেই সুত্রে ওই জায়গার মালিক বলে তিনি জানান।

এ ব্যাপারে মিন্টু বালা জানান, আমি বাবু কীর্ত্তনীয়ার কাছ থেকে এই ৮ বছর আগে এই দোকান ঘর ও জমির বায়নাপত্র করে ভোগ দখল করে আসছি। গত মাসে আমাকে জমি লিখিত ভাবে হস্তান্তর করলে স্মৃতি ভক্ত তার কথিত প্রেমিকের সুত্রে এই দোকান ঘর ও জমি দাবী করে। স্মৃতি ভক্ত ও বৌলতলী ইউপি চেয়ারম্যান সুকান্ত বিশ্বাস বৃহস্পতিবার সন্ধায় তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে আমার ঘর ভাংচুর করে এবং আমাদেরকে মারপিট করে। আমাদের প্রানের মেরে ফেলবে বলেও হুমকি দিয়েছে। যার কারণে আমরা বর্তমানে প্রান ভয়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছি।

এ ব্যাপারে জমির মালিক বাবু কীর্ত্তনীয়া বলেন, আমি আমার জামাই মিন্টু বালাকে এই জমির চুক্তিপত্র করে দেই। কিন্ত আমার পূর্বের ভাড়াটিয়ার কথিত প্রেমিকা স্মৃতি ভক্ত তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে দোকান ঘর ও জমি জবর দখলের চেষ্টা করছে। আমি এ ব্যাপারে মামলা করার জন্য কোর্টে গিয়ে ছিলাম। মামলার প্রস্তুতি চলছে রবিবারে মামলা দাখিল করবো।

এ ব্যাপারে সাতপাড় ইউপি চেয়ারম্যান সুজিত কুমার মন্ডল সুর্য বলেন, স্মৃতি ভক্ত ও বৌলতলী ইউপি চেয়ারম্যান সুকান্ত বিশ্বাস বৃহস্পতিবার সন্ধায় আমার ইউনিয়নে সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে এসে জোর পূর্বক দোকান ঘর ও জমি দখলের জন্য ভাংচুর করে। আমি খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই এবং তাদেরকে ফিরিয়ে দেই। এলাকার লোকজন নিয়ে বসে একটা মিমাংসা করার প্রস্তুতি চলছিল তার মধ্যে বৌলতলী ইউপি চেয়ারম্যান সুকান্ত বিশ্বাস যে কাজটি করেছে তা খুবই নিন্দনীয়।

এ ব্যাপারে বৌলতলী ইউপি চেয়ারম্যান সুকান্ত বিশ্বাস বলেন, আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম দেখার জন্য। স্মৃতি ভক্ত ও বাবু কীর্ত্তনীয়া মধ্যে জমি নিয়ে দন্দ চলছে। খুব দ্রুত দুই ইউনিয়নের লোকজন বসে এটা মিমাংসা করা হবে।

এ ব্যাপারে বৌলতলী তদন্ত কেন্দ্রের এ এস আই নিজাম মিয়া বলেন, আমাদের পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ করে এবং আমি তদন্ত করতে যাই। উভয় পক্ষ মিমাংসা জন্য তাদেরকে বলা হয় এবং তারা বসে মিমাংসা হবে বলে আমায় বলেন।