বিএনপি নির্বাচন না করেই ক্ষমতায় আসতে চায় – স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে বিএনপি নেতাদের বক্তব্যের জবাবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, আওয়ামীলীগ কি কারনে নির্বাচন বানচাল করতে যাবে ? আমরা তো সবারই সম্পৃক্ততা নিয়ে নির্বাচন করতে চাই। আমরা এটা তো করে যাচ্ছি। শনিবার দুপুরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধীতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, এখন আমাদের কোনো জিনিসই যদি তাদের পছন্দ না হয় তাহলে আমরা কি ভাবে তাদের পছন্দ করাবো। তাদের খায়েস হলো, একটা রুপার প্লেট কিনবো, ক্ষমতার জন্য একটা চিঠি লিখবো এবং তাদের হাতে তুলে দিব। এটি কি কোনো সম্ভবপর কথা হলো। আমরা তো এক সময় বিরোধী দলে ছিলাম, আমাদের সাথে তারা কি আচার আচরণ করছে, সবাই সেটা দেখেছে।

তারপরও আন্দোলন করে আমরা ক্ষমতায় এসেছি। তাদের আন্দোলন করতে অসুবিধা কোথায় ? আমরাতো কোনো বাধা দিচ্ছি না। আসলে বিএনপির নির্বাচন না করেই ক্ষমতায় আসতে চায়। সম্প্রতি হয়ে যাওয়া গাজীপুর সিটি নির্বাচন প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, নির্বাচনে শুরু হওয়ার আগেই বিএনপি বলেছে একশ জায়গায় (কেন্দ্রে) তাদের এজেন্ট নাই। তাদের এজেন্টও কি আমরা দিয়ে দিব ?

এজেন্ট দেওয়া তো তাদের দায়িত্ব। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা হয়, মুখোমুখি অবস্থা হয় এটা শুধু বাংলাদেশেই নয়, আমেরিকার মতো জায়গাও তো হচ্ছে। নির্বাচনের জন্য তো তাদের শক্তি সষ্ণয় করতে হবে। তারা শক্তি সষ্ণয় করলে তো আমাদের কোনো আপত্তি নেই। তারা শক্তি সষ্ণয় করলে কি আমরা কোনো বাঁধা দিচ্ছি ?

সেন্টারে তারা এজেন্ট দিবে না, ওপেনিং এ থাকবে না, সেন্টারে তাদের কোনো লোক থাকবে না, নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দী প্রার্থীর নেতাকর্মীরা প্রভাব বিস্তার করতে চাইবেই, এটাই তো স্বাভাবিক। আর ইলেকশনে প্রথম কাজই হলো এটা। সেটা তারা করবে না, লোক পাঠাবে না বলবে আমাদের তাড়িয়ে দিয়েছে কিন্তু একটা বড় দলকে কি কখনো তাড়িয়ে দেওয়া যায়? তারা ইচ্ছা করে এগুলো করছে, দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য।

কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় তিনি শনিবার দুপুরে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী সঙ্গে নিয়ে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধীতে শ্রদ্ধা জানাতে আসেন।

এ সময় ফরিদপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো: লোকমান হোসেন মৃধা, ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সুভাষ চন্দ্র সাহা, কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সহ-সভাপতি আরিফুর রহমান, গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোখলেসুর রহমান সরকার, পুলিশ সুপার মুহাম্মদ সাইদুর রহমান খান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলী খান, পৌর মেয়র কাজী লিয়াকত আলী, জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সাহাবুদ্দিন হিটু, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান গাজী গোলাম মোস্তফা, সাবেক চেয়ারম্যান সোলায়মান বিশ্বাস, পৌর মেয়র শেখ আহম্মেদ হোসেন মির্জা, সাবেক মেয়র ইলিয়াস হোসেন, এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী এ কে ফজলুল হকসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।