ভোলায় গ্রাম আদালত সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে মতবিনিময় সভা

ভোলা প্রতিনিধি: জেলায় আজ গ্রাম আদালত সম্পর্কে ব্যাপক জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে ‘গনমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ২৮ জুন (বৃহস্পতিবার) সকালে ভোলা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা মেজিস্ট্রেট সন্দীপ কুমার সাহা।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) এর সহযোগীতায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ভোলা জেলা প্রশাসন। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর শাফিন মাহমুদ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ গ্রাম আদালত সক্রিয়করন প্রকল্প (২য় পর্যায়) ইউএনডিপি এর কমিউনিকেশন স্পেসালিষ্ট অর্পনা ঘোষ।

সভায় বক্তারা বলেন, প্রান্তিক জনগোষ্ঠির বিচারিক অধিকার নিশ্চিত করতেই সরকার এই প্রকল্প চালু করেছে। মূলত এটি একটি সরকারি সেবা গ্রহনের পদ্ধতি। এর মাধ্যমে বিকল্প বিরোধ নিস্পত্তি’র ব্যবস্থা করা হয়। এখানে সমঝোতার ভিত্তিতে বিরোধ নিস্পত্তি হয় বলেই এক বিরোধ থেকে অন্য বিরোধ সৃষ্টি হয়না। গ্রামীন জীবনের চুরি, ঝগড়া-বিবাদ, প্রতারনা, উত্যেক্ত করা ইত্যাদী ছোটোখাটো বিষয়গুলো ঘরের কাছেই মিমাংশা করা যায়।

তারা আরো বলেন, গত ৯ মাসে ভোলার ৫ উপজেলায় ১৮শ ১৮টি মামলা দায়ের করা হয়েছে গ্রাম আদালতে। এর মধ্যে নিস্পত্তি হয়েছে ১৫শ ৯৫টি মামলা। এখানে মামলার নিস্পত্তির হার ৮৮ ভাগ। তাই গ্রাম আদালতের মাধ্যমে স্বল্প সময়ে যে সঠিক বিচার পাওয়া যায় এই ধারনা সাধারন মানুষের মধ্যে বেশি করে ছড়িয়ে দেওয়া ও গ্রাম আদালতকে আরো সক্রিয়করন করতে হবে।

এতে করে আমাদের আদালত পাড়ায় মামলার জট কমে যাবে। মানুষ এখনো গ্রাম আদালত সম্পর্কে এখনো জানেনা। তাই আপনারা গনমাধ্যমকর্মীরা আপনাদের লেখালেখি এবং টিভি রিপোটিং এর মাধ্যমে জনগননের কাছে পৌছে দিবেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, প্রেসক্লাব আহবায়ক এম এ তাহের, প্রেসক্লাব সাবেক সভাপতি বাংলার কন্ঠ সম্পাদক এম হাবিবুর রহমান,দৈনিক আজকের ভোলার সম্পাদক আলহাজ্ব মুহাম্মদ শওকাত হোসেন,লর্ডহার্ডিঞ্জ ইউনিয়ন ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম সহ বিভিন্ন প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধি বৃন্দ।

এসময় পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টশন এর মাধ্যমে জেলার প্রকল্প অগ্রগতি তুলে ধরেন,ইউএনডিপি’র ডিস্ট্রিক ফেসিলিটেটর মো: সফিকুর রহমান। অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন, ওয়েভ ফাউন্ডেশনের জেলা সমন্বয়কারী সুকুমার মিত্র।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ গ্রাম আদালত সক্রিয়করন (২য় পর্যায়) প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের ২৭টি জেলার ১২৮টি উপজেলার ১ হাজার ৮০টি ইউনিয়নে ২০১৭ সালের জানুয়ারি থেকে এর কার্যক্রম শুরু হয়। এর মধ্যে জেলার ৫টি উপজেলার ৪৬টি ইউনিয়নে এর কার্যক্রম চলমান রয়েছে।