রানীশংকৈলে প্রভাষকের প্রতারণায় ডিগ্রী পরীক্ষা অনিশ্চিত অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থীর

ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁও জেলা রানীশংকৈল ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক কর্তৃক ফরম পুরণে প্রতারণার কারনে ডিগ্রী ২য় বর্ষের প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থীর পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। ২৪ জুন রবিবার এ প্রতারণার বিষয়টি নিশ্চিত করেন ডিগ্রী কলেজের হিসাবরক্ষক । আর সেদিনেই ছিলো বোর্ড কর্তৃক দেওয়া ফরম পূরণের শেষ দিন। শিক্ষার্থীদের দেওয়া বক্তব্য অনুযায়ী এ ঘটনা ঘটিয়েছেন ঐ কলেজের রাষ্ট্র বিজ্ঞানের প্রভাষক লুৎফর রহমান লিটন।

তার বাড়ী উপজেলার বন্দর(ডাবতলী) নামক এলাকায়। এদিকে অর্নাস কোর্সেরও ফরম পুরণের একাধিক শিক্ষার্থীর টাকা নিয়ে এমন প্রতারনা করা হয়েছে বলে জানা যায়। ২৪ জুন রবিবার সন্ধা পর্যন্ত অধ্যক্ষের নিকট জালিয়াতি করা ডিগ্রী ২য় বর্ষের ২৮ জন শিক্ষার্থী ও অর্নাস কোস পরীক্ষার তিনটি ফরম পুরণের ডিমাণ্ট লিষ্ট জমা পড়েছে বলে কলেজ কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করে বলেন,এ সংখ্যা আরো বাড়বে বিষয়টি আরো ভালো ভাবে দেখা হচ্ছে।

ডিগ্রী কলেজের রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের রানীশংকৈল শাখার হিসাব নম্বরে জমা হতো ফরম পুরণের নিধারিত টাকা। আর সে ব্যাংকের সিল ও ব্যাংক কর্মকর্তার স্বাক্ষর জাল করে ঐ প্রভাষক শিক্ষার্থীদের নিকট টাকা নিয়ে ডিমান্ট রিসিভ সরবরাহ করেন। ফরম পুরণের ফি বাবদ কলেজ কর্তৃপক্ষ ফি নির্ধারণ করেছিলেন তিন হাজার সাতশত টাকা।

ডিগ্রী কলেজের হিসাবরক্ষক মাইনুল ইসলাম বলেন,শিক্ষার্থীদের ফরম পুরণের ডিমান্ট লিষ্ট ২৪ জুন রবিবার যে পরিমাণ সরবারহ করা হচ্ছে তার থেকে বেশি পরিমাণ ব্যাংক রিসিভ ডিমান্ট লিষ্ট আমাদের কাছে জমা আসছে এ দেখে আমার সন্দেহ হলে বিষয়টি আমি ব্যাংক কর্তৃক নিশ্চিত হতে গেলেই বেরিয়ে আসে এ জালিয়াতির ঘটনা।

জালিয়াতির সীকার শিক্ষার্থী মাসুদ রানা বলেন,আমাকে লিটন স্যার বলেছিলো তুমিসহ তোমার বন্ধুরা যারা ফরম পুরনের টাকা কম দিতে চাও তারা আমাকে টাকা দিয়েও আমি কম করে দিবো তাই আমি স্যারকে আমারটাসহ আটজনের তিন হাজার টাকা করে মোট চব্বিশ হাজার টাকা দিয়েছিলাম। কিন্তু তিনি এ প্রতারনা করবে তা তো আমরা জানি না।

একইভাবে প্রতারণার স্বীকার কোহিনুর, সুমি,কুলসুম আবু হানিফ,হারুন আশরাফ আলী শিক্ষার্থী কেদে কেদে বলেন একটু কম টাকাই ফরম পূরণের জন্য লিটন স্যারের কথায় তিনাকে টাকা দিয়েছিলাম তিনি আমাদের সংশ্লিষ্ট ব্যাক কর্তৃক জমা হয়েছে মর্মে সিল স্বাক্ষরসহ ডিমাণ্ট ফরম আমাদের দিয়েছেন আমরা যথা নিয়মে কলেজে জমা দিতে গেলেই ধরা পড়ে এ জালিয়াতি।

আমরা তো অন্য কাউকে টাকা দেয়নি নিজের কলেজের স্যারকে টাকা দিয়েছি তিনি যদি আমাদের সাথে বিশ্বাস ঘাতকতা করে জালিয়াতি করেন তাহলে আমরা আর কি শিখবো বা কি করবো কাকে বিশ্বাস করবো বলে মন্তব্য করেন। এ ব্যাপারে বক্তব্য নিতে অভিযুক্ত প্রভাষক লুৎফর রহমান লিটনের বক্তব্য নিতে তার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের রানীশংকৈল শাখার ম্যানেজার রমজান আলী,বলেন বিষয়টির আমি আইনি পদক্ষেপ নিবো। অধ্যক্ষ তাজুল ইসলাম বলেন আজ রাতে ম্যানেজিং কমিটির জরুরী সভা আহবান করা হয়েছে সভায় পরবর্তী সিদ্বান্ত হবে।