তজুমদ্দিনে স্থগিত হওয়া উপ-নির্বাচন ২৫ জুলাই নিয়ে সন্দেহ খোদ জেলা নির্বাচন কমিশনারের মনে

ভোলা প্রতিনিধি: ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের নতুন তারিখ দিয়েছে ইসি। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম-সচিব ফরহাদ হোসেন খান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে স্থগিত উপ-নির্বাচনের ভোট গ্রহণের জন্য স্থানীয় নির্বাচন অফিসকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। নির্বাচনী আমেজ শুরু হলেও কোন প্রর্থী নামেনি প্রচার প্রচারনায় তাই নির্বাচন হওয়া নিয়ে সন্দেহ খোদ জেলা নির্বাচন কমিশনারের মনে।

তজুমদ্দিন উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্র জানায়, তজুমদ্দিন উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব অহিদ উল্লাহ জসিম মরণ ব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর চিকিৎসা অবস্থায় সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে মৃত্যু বরণ করলে চেয়ারম্যান পদটি শুণ্য ঘোষনা করে নির্বাচন কমিশন। পরে ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৮ শুধুমাত্র তজুমদ্দিন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষনা করেন নির্বাচন কমিশন।

গত ২৯ মার্চ ২০১৮তারিখে এই উপ-নির্বাচনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠানের তারিখ নির্ধারিত ছিল। তখন প্রতিদ্বন্দীপ্রার্থী ছিলেন আ’লীগ মনোনীত নৌকায় ফজলুল হক দেওয়ান, বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ধানের শীষ প্রতীকে গোলাম মোস্তফা মিন্টু ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আনারসে (আওয়ামীলীগ বিদ্রোহী) নাসিরউদ্দিন দুলাল।

নির্বাচন স্থগিত চেয়ে ১৮ মার্চ ২০১৮ সুপ্রিম কোর্টেরহাইকোর্ট ডিভিশনে রিট দাখিল করেন উপজেলা আ’লীগ সভাপতি, চাঁদপুর ইউপি চেয়ারম্যানও বিদ্রোহীপ্রার্থী নাসিরউদ্দিন দুলালের বড় ভাই ফখরুল আলম জাহাঙ্গীর। ৩নং চাঁদপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভোটার তালিকা পুর্নাঙ্গ করা ও উপজেলার সীমানা বিরোধ নিস্পত্তি করে গেজেট প্রকাশ করার দাবী জানিয়ে এ্যাডভোকেট এম সাইয়েদ আহমেদ ও বিএম মামুনুর রশিদের মাধ্যমে এই রিটপিটিশন পেশ করেন।

২০ মার্চ ২০১৮ তারিখে হাইকোর্টের বিচারক সালমা মাসুদ চৌধূরী ও একেএম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ তজুমদ্দিন উপজেলা পরিষদের উপ-নির্বাচন চার সপ্তাহের জন্য স্থগিত আদেশ প্রদান করেন। জেলা নির্বাচন অফিসার ও রির্টানিং অফিসার মোঃআলাউদ্দিন আল মামুন জানান, যে অবস্থা থেকে নির্বাচন বন্ধকরা হয়েছে, সেইঅবস্থা থেকে নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু করার জন্য নির্দেশনা রয়েছে।

এদিকে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক তজুমদ্দিন উপজেলা পরিষদের উপ-নির্বাচনের স্থগিত আদেশ প্রত্যাহার করে পুনরায় ভোট গ্রহণের তারিখ ঘোষণা করায় সাধারণ ভোটার দের মধ্যে নতুন করে ভোটের হাওয়া বইতে শুরু করেছে। গ্রামগঞ্জ, চায়ের দোকান, হাটবাজার সহ উপজেলার সর্বত্রই এখন উপ-নির্বাচনের ভোটের আলোচনা চলছে।

তবে সাধারণ ভোটারদের মধ্যে উপ-নির্বাচনের আমেজ শুরুহলে ও প্রতিদ্বন্দী ৩ প্রার্থীর কাউকেই এখন পর্যন্ত নতুন করে ভোটারদের কাছে ভোট চাইতে দেখা যায়নি। সাধারণ ভোটারদের ধারণা নির্বাচনের দিনক্ষণ আরো ঘনিয়ে আসলে হয়ত প্রতিদ্বন্দী প্রার্থীরা কোমর বেধে ভোটযুদ্ধে নামবেন।

এতো সবের মধ্যে ও সাধারণ ভোটারদের মধ্যে আবারও সঙ্কা দেখা দিয়েছে আগামী ২৫ জুলাই উপজেলা পরিষদের উপ-নির্বাচন হবে তো? নাকি আবার আইনের মারপ্যাচে স্থগিত হয়ে যাবে উপজেলা পরিষদের উপ-নির্বাচন।