দিগন্ত পল্লী উন্নয়ন সংস্থার মাঠ কর্মীর আঘাতে গুরুতর আহত আসমা

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধিঃ গত বৃহস্পতিবার সকাল ৯.০০টার দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার কানসাট ইউনিয়নের বহলাবাড়ী (শামজোলা) নামক স্থানে দিগন্ত পল্লী উন্নয়ন সংস্থার মাঠ কর্মী মোঃ মানিক এর আঘাতে গুরুতর আহত হন নেফাউর রহমানের স্ত্রী মোসাঃ আসমা বেগম (৩৮), বর্তমানে সে শিবগঞ্জ উপজেলা সাস্থ্য কমপ্লেক্সের আট নাম্বার মহিলা বেডে কাতরাচ্ছে।

ঘটনার সূত্রে জানাযায়, নেফাউর রহমানের স্ত্রী আসমা বেগম গত ৯/১১/২০১৭ ইং তারিখে আসাদুল আলী আসমার ছেলের নামে দিগন্ত পল্লী উন্নয়ন সংস্থায় ১০,০০০/- (দশহাজার) টাকা বিনিয়োগ নেন। এবং ২৪/৮/২০১৭ইং তারিখে আসমা বেগম নিজ নামে দশ হাজার, মোট ২বারে বিশ হাজার টাকার বিনিয়োগ নেন এবং লাভসহ দুইটি বইয়ে মোট ২৫,৩০০/- টাকা পরিষধের নিমিত্তে সাপ্তাহিক ৫৫০/- টাকার সাপ্তাহিক ৪৬টি কিস্ততে পরিষোধ করবেন মর্মে লোন করেন।

এবং গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত একটা বইয়ে কিস্তি পরিষোধ করেন ৪১টি। এবং অপরটি বইয়ে ৩০টি। কিন্তু মানিক (এনজিও মাঠকর্মী) সকাল ৯টার শামজোলায় আসমা বেগমের বাড়ীতে কিস্তি আদায়ের জন্য যান। এসময় আসমা বেগম বাড়ীতে একা ছিলেন ফাকা বাড়ী পেয়ে মানিক আসমার আশ্লিলতা হানির চেষ্টা করেন। তার পরিহিত ব্লাউজ ছিড়ে দেন এবং মুখ চেপে ধর্ষনের চেষ্টা করেন।

তিনি বাচার জন্য চিৎকার করলে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসেন। তারপরও পাষন্ড মানিক তাকে লাথি, কিল ঘুষি মারতে থাকে এসময় আসমা মাটিতে পড়ে যায় এবং জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। আর অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন এবং কিন্তির টাকার জন্য বলতে থাকেন। প্রসংগত মানিকের বাড়ী একই এলাকায় হওয়ায় ফোনে তার ভাই সামাদকে ডেকে নেন এবং প্রভাব খাটিয়ে আসমার স্বর্ণের আট আনার কানের দুল ও আটআনা ওজনের গলার চেন ছিড়ে নেয় এবং বাড়ী হতে একটি গরু খুলে নিয়ে যায়।

যেহেতু হামলার সময় কোন ছেলে মানুষ ছিলনা এবং আসমার স্বামী একজন রং মিস্ত্রী, সে ঘটনার সময় শাহাবাজপুর ইউনিয়নের ধোবড়ায় রংয়ের কাজে ছিলেন। তাই তারা সহজে এমন বর্বরোচিত ঘটনা ঘটায়। পরে আসমাকে সঙ্গাহীন অবস্থায় শিবগঞ্জ উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। ঘটনার পরেরদিন শুক্রবার বিকাল চারটা পর্যন্ত সংবাদ প্রস্তুত করা পর্যন্ত দিগন্ত এনজিওর কেউই আহত আসমার খোঁজ খবর নেননি এবং দেখতেও আসেননি।

এই ব্যপারে ঔ এলাকার মেম্বার আবুল কালামের সাথে ফোনে কথা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বিকার করেন। এবং বলেন উভয়ের মধ্যে নিস্পত্তি ব্যবস্থা চলছে। ঐ একই ব্রাঞ্চের ম্যানেজার মোস্তাফিজুর রহমানকে ফোন করা হলে তিনি এই প্রতিবেদককে জানান, ঘটনা ঘটার পরে আমি জানতে পেরেছি। এ ব্যাপারে আসমা বেগমের স্বামীর কাছে জানতে চাইলে তিনি প্রতিবেদককে বলেন আমরা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।

এখন সুশিল সমাজের কাছে প্রশ্ন এসব নামে বেনার এনজিও গুলো সমাজের সাধারন মানুষের কাছে চড়া হারে চক্রাকারে সুদ আদায় করে আবার কিস্তির টাকা আদায়ের জন্য এমন নির্যাতনও করে । এ সব ঘটনা অমানবিক ও বিক্রিতমস্তিস্কের বহির প্রকাশ।

এসব এনজিওদের আবার কারো কারো কোন লাইসেন্স বা অনুমোদনও নাই। তাহলে তারা কাকে ম্যানেজ করে এমন রমরমা ব্যবসা করছে। এবং এই রকম নির্যাতনের ঘটনা অহোরহ ঘটায়। এমনকি এনজিও কর্মী মানিকেরই খুটির জোর কোথায়। এমন প্রশ্ন এলাকাবাসীর।