নরসিংদীতে কৃষকরা এখন বাহারী রকমের বাদাম চাষে ঝুুঁকছে

সাইফুল ইসলাম রুদ্র, নরসিংদী প্রতিনীধি: নরসিংদীর রায়পুরা চরা লে অনুকূল পরিবেশ, ঝুঁকি কম ও উৎপাদন খরচ সীমিত হওয়ায় চরা লের চাষিরা ঝুঁকছেন বাদাম চাষে। চলতি মৌসুমে নরসিংদী জেলার চরা লে ব্যাপক আকারে চাষ হয়েছে উচ্চ ফলনশীল বাদাম। কমপুঁজিতে অধিক লাভ হওয়ায় কৃষকের মুখে ফুঁটেছে হাসি।

চরা লের বাদামের ক্ষেতের দিকে তাকালে মনে হয় যেন সবুজের চাদর বিছিয়ে দেওয়া হয়েছে চারিদিক। নদীর পরিত্যাক্ত চর এখন আর পড়ে নেই। প্রযুক্তিগত ধারনা, ঋণ সুবিধাসহ উৎপাদিত পণ্যের সুষ্ঠু বাজারজাত ও সংরক্ষণ নিশ্চিত করতে পারলে এ জেলার উৎপাদিত বাদাম গ্রামীণ এই জনপদের অর্থনীতিতে নতুন ভ’মিকা করবে।

নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলার বাঁশগাড়ী ও চৌরসুবুদ্দি এলাকায় বাদাম চাষ কৃষিতে নতুন বিপ্লব এনেছে। এ উপজেলার বাঁশগাড়ী ইউনিয়নের গামের বাদাম চাষি কাশেম মিয়া গনমাধ্যমকর্মীকে বলেন, প্রতি বিঘা জমিতে ৫/৬ হাজার টাকা খরচ করে এবং অল্প পরিশ্রমে বাদাম চাষে ভালো আয় করা যায়। প্রতিমণ বাদাম ১৫শ’ থেকে ১৭শ’ টাকা দরে বিক্রি হয়।

রায়পুরা উপজেলার বাঁশগাড়ী ইউনিয়নের কৃষকরা গনমাধ্যমকর্মীকে বলেন, সরকারিভাবে প্রশিক্ষণ ও ঋণ সুবিধা দিলে চরা লের কৃষকরা বাদাম চাষে আরও ঝুঁকবে।

নরসিংদী জেলা কৃষি কর্মকর্তা লতা ব্যনার্জী বলেন, চলতি বছর জেলায় প্রায় ৮ হাজার হেক্টর জমিতে উচ্চ ফলনশীল জাতের বাদাম চাষ হয়েছে। এ বছর রায়পুরা উপজেলায় বাদাম চাষ ভালো হয়েছে। কৃষকরা ভালো দাম পেলে আগামীতে বাদাম চাষ আরও বৃদ্ধি পাবে।