নরসিংদীতে জোবেদা সুমনা আক্তার নামে এক তরুনীর রহস্যজনক মৃত্যু- পলাতক স্বামী

সাইফুল ইসলাম রুদ্র, নরসিংদী প্রতিনিধি: নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলায় এক তরুণী গলায় রশি পেঁচিয়ে মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ঘটনা স্থলে গিয়ে জানা যায় নিহত জোবেদা সুমনা আক্তার (২৫) রায়পুরা উপজেলার পলাশতলী ইউনিয়নের সাচিয়ামারা গ্রামের মোবারক হোসেনের মেয়ে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায় যে, গত ২৪ জুলাই রোজ মঙ্গলবার দিবাগত রাত্র অনুমান ৪ টার দিকে তার স্বামীর বাড়িতে একটি রুমে গলায় রশি পেঁচিয়ে সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে থাকে। এসময় বাড়ির দরজা ভিতর থেকেই বন্ধ করা ছিল। ঘটনার এক পর্যায়ে এলাকা বাসী বাসার জানালা দিয়ে তাকিয়ে দেখতে পায় নিহত জোবেদা সুমনা আক্তার গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলে আছে। এরপর বিষয়টি জানাজানি হলে রায়পুরা উপজেলার পলাশতলী ইউনিয়নের সাচিয়ামারা গ্রামের তার স্বামীর বাড়িতে নিহতের পিতা মোবারক হোসেন ছুটে আসেন।

খবর পেয়ে রায়পুরা থানার এস আই শাহীন এর নেতৃত্বে চারজন পুলিশ ও দুইজন মহিলা পুলিশ ঘটনাস্থলে আসেন, একই সময়ে পুলিশ প্রশাসন ও গণমাধ্যম যৌথ ব্যবস্থাপনায় নিহতের সকল তথ্যাবলীও নিশ্চিত করে থাকেন। তবে নিহতের শরীরে কোনো রকম আঘাতের চিহ্ন পাওয়া না গেলেও তার পাষন্ড স্বামী সুমন মিয়ার সাথে একটা দূসম্পর্কের কথা শুনা গিয়েছে।

নিহতের চাচী শ্বাশুড়ী তাসলিমা আক্তার (৪০) গনমাধ্যম কর্মীদেরকে জানান যে, নিহত জোবেদা সুমনা আক্তারের সাথে কয়েকদিন আগেও সমিতির টাকা নিয়ে তার স্বামীর ভীষণ ঝগড়া হয় এবং তারা নাকি প্রায়ই ঝগড়া ঝাটি করে। আশে পাশের নাম প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক আরো কয়েকজন বলেন যে, নিহত জোবেদা সুমনা আক্তারের প্রথম সন্তান হয়ে মারা যাওয়ার কারণেও নাকি নিহত জোবেদা সুমনা আক্তারকে তার পাষন্ড স্বামী অমানসিক শারীরিক নির্যাতন করে।

উক্ত ঘটনার বিষয়ে রায়পুরা থানার পুলিশ সূত্রে জানা যায় যে, নিহত জোবেদা সুমনা আক্তার (২৫) খুবই সহজ, সরল প্রকৃতির একটা মেয়ে ছিল। কিন্তু তার সরলতার সুযোগ নিয়ে তার স্বামীসহ শ্বশুর-শ্বাশুড়ী তাকে অমানসিক নির্যাতন করত। এক কথায় নিহত জোবেদা সুমনা আক্তারের মৃত্যুর পেছনে একটা রহস্য থেকে যায়।

আর এই কারণেই নিহত জোবেদা সুমনা আক্তারের মৃত্যুর পরপরই তার স্বামীসহ শ্বশুর-শ্বাশুড়ী ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। বর্তমানে তারা পলাতক। তবে পুলিশ সদস্যরা বলেছেন যে, তারা ঘটনার রহস্য উৎঘাটনের জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করছে। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।