নাটোরের সরকারী বদলী আদেশ অমান্য করে স্বপদে বহাল প্রধান শিক্ষক

নাটোর প্রতিনিধিঃ সরকারী বদলী আদেশ অমান্য করে স্বপদে বহাল থাকতে চান এমনই অভিযোগ পাওয়া গেছে নাটোর সদর উপজেলার ঘোড়াগাছা আমহাটী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সুলতানা আক্তারের বিরুদ্ধে। সরেজমিনে স্কুলে গিয়ে এমন অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।

এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, ঘোড়াগাছা আমহাটী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সুলতানা আক্তারকে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহা-পরিচালকের অনুমোদন সাপেক্ষে এবং স্থানীয় সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুলের ডিও লেটারের প্রেক্ষিতে প্রশাসনিক কারণে পাশর্বর্তী এলাকায় বিদ্যালয়ে নির্দেশক্রমে বদলির অনুমতি দেয়া হয় ১৩ জুন ২০১৮ ইং সে মোতাবেক ২১ শে জুন প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ রাজশাহী সুলতানা খাতুনকে বদলীর আদেশ দেন।

ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সুলতানা আক্তারকে একই উপজেলার বাকশোর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক শূণ্যপদে বদলি ভিত্তিক নিয়োগ দেয়। যেখানে বলা আছে এই আদেশ অনতিবিলম্বে কার্যকর করতে হবে। কিন্তু তার এই সরকারী বদলির আদেশ অমান্য করে এই রিপোর্ট করা পর্যন্ত ঘাড়াগাছা আমহাটী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অবস্থান করছেন ।

এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, এই ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সুলতানা আক্তার এই স্কুলে শিক্ষক নিয়োগে আত্মীয়করন, স্কুলে সরকারী অনুদানের অর্থ আত্মসাৎ এবং সহকারী শিক্ষকের সাথে দৃর্ব্যবহারও করেন।

এ ব্যাপারে ঘোড়াগাছা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সুলতানা আক্তার বলেন, ১৮ বছর আগে এই প্রতিষ্ঠানের জন্মলগ্ন থেকে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছি তাই ছেড়ে যেতে চাই না। দেশের সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়কে সরকারীকরণ করার পর এই স্কুলের এই পদের দায়িত্ব পালন করার জন্য হাইকোর্টে একটি রিট করা হয়েছে।

রিটের কাগজপত্রসহ স্কুলের সকল কাগজপত্র স্কুলের অবকাঠামো উন্নত না হওয়ায় জেলা শিক্ষা অফিসারের অনুমতি সাপেক্ষে নিজ বাড়িতে রেখেছেন বলে জানান। তিনি বলেন ২১ শে জুন আমার বদলী আদেশ পত্র প্রেরণ করলেও ২৮ শে জুন আমি হাতে পেয়েছি। তিনি এলাকাবাসীর অভিযোগ অস্বীকার করেন।

স্কুল কমিটির সভাপতি মোঃ জামাল গাজী বলেন, আমি এ স্কুলের সভাপতি, সরকার ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বদলির ব্যাপারে আমার এবং কমিটির সাথে কোন পরামর্শ করেনি। সুলতানা খাতুনের চেয়ে ভালো শিক্ষক সরকার কিভাবে দেয়। সরকার থেকে এ পর্যন্ত কোন অনুদানও আসেনি। নিজের খরচেই স্কুল চালাই।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার আলী আশরাফ বলেন, সরকার সরকারী নিয়মেই চলবে। কোন সরকারী কর্মকর্তার স্বেচ্ছায় স্বপদে থাকার এখতিয়ার আইনে নাই।

বদলীর আদেশ তাকে যেখানে সরকার বদলী করেছেন সেখানে যোগদান করতে হবে। তিনি ্ওই স্কুলে স্ব-পদে বহাল থাকতে পারে না। যদি সরকার সুলতানা খাতুনের বদলী আদেশ প্রত্যাহার করে তাহলে তিনি ্ওই স্কুলে থাকতে পারবেন। যদি তিনি সরকারের আদেশ অমান্য করে তাহলে তাকে চাপ প্রয়োগ করে হলেও আদেশ মানাতে হবে।