বালিয়াডাঙ্গীতে নারী নির্যাতন বেড়েই চলছে

ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ভানোর ইউনিয়নের বাঙ্গাটুলি গ্রামে শিউলী নামের এক গৃহবধূ স্বামীর বরবর নির্যাতনের স্বীকার। বিবাদীর নানা ভাবে ভয়-ভীতিসহ প্রাণে মেরে ফেলার হুমকী প্রদানের কারণে বাস্তভিটা ছাড়াতে হলো শিউলীর পিতা হবিবর রহমান মামলার বাদী।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, বেশ কিছুদিন পূর্বে হবিবর রহমানের মেয়ে শিউলী আক্তারের হোসেন আলীর ছেলে রাসেলের সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই দাম্পত্য জীবন চলাকালীন শিউলী আক্তাকে তার স্বামী ও পরিবারের সকল লোকজন মিলে যৌতুকের জন্য প্রতিদিন মারপিট ও ঝগড়া-বিবাদ ও অত্তাচার করতে থাকে।

এর মধ্যে গত ৭ মে ১৮ তার স্বামী, শ্বশুড়, শ্বাশুড়ী ও পরিবারের অন্যান্যে লোকজনসহ শিউলীকে বেদম মারপিট করে। তার পিতা উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। গত ১৪ মে ১৮ বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালত ঠাকুরগাঁওয়ে একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলা নং-১৮৩/১৮ ।

শিউলীর স্বামী রাসেল আলী মামলার খবর জানতে পেরে অন্যান্য বিবাদীগণসহ শিউলীর বাবা,মা ও পরিবারের লোকজনকে নানা ভাবে ভয়-ভীতিসহ প্রাণে মেরে ফেলার হুমকী প্রদান করেন এবং আরো বলেন, উক্ত মামলা প্রত্যাহার না করলে শিউলীর বাবা হবিরব রহমানকে রাতের অন্ধকারে মেরে মাটিতে পুতে গোপন করে ফেলবেন ইত্যাদি হুমকী দেয়।

ফলে পরবর্তীতে শিউলী আক্তার গত ১৭ মে ১৮ ফৌজদারী আইনের ১০৭ ও ১১৭ সি ধারা মতে আরএকটি মামলা দায়ের করেন। এতে রাসেল ও বিবাদীগণসহ আরও বেশি বেপরোয়া হয়ে উত্তেজনা বিরাজ করে এবং সে সাথে রাসেল বলতে থাকে শিউলীর বাবা,মা ও ভাইসহ সকলকেই বাস্তভিটাছাড়া করব।

যদি এখন থেকে অন্যত্রে পালিয়ে না যায়। তাহলে কোন সময় সুযোগ পেলে মেরে গুম করে ফেলব। সে কারণে ভয়ে ভীত ও নিরুপায় হয়ে গত ২৩ মে ১৮ শিউলীর বাবা হবিবর রহমান স্বপরিবার নিয়ে বাড়ী ঘড় ভেঙ্গে অন্যত্র ভানোর তমিজ পাড়া গ্রামে চলে যান।