বেনাপোল বন্দরে বিজিবির তদারকির প্রতিবাদে স্থলবন্দরে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম বন্ধ

বেনাপোল প্রতিনিধি: দেশের সর্ব বৃহৎ স্থলবন্দর বেনাপোলে আমদানি-রফতানি বাণিজ্যের উপর বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যদের তদারকির প্রতিবাদে কার্যক্রম বন্ধ রেখেছেন কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।

রোববার (১৫ জুলাই) দুপুর ১টা থেকে বেনাপোল বন্দরের সঙ্গে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের আমদানি বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যায়। এর আগে সকাল ৯টায় চেকপোস্ট কাস্টমস কার্গো শাখা অফিসে তালা ঝুলিয়ে অফিসিয়াল কার্যক্রম বন্ধ করে দেন কাস্টমস সদস্যরা।

কাস্টমস ও ব্যবসায়ী সূত্র জানায়, শনিবার (১৪ জুলাই) সন্ধ্যায় চেকপোস্ট কাস্টমস কার্গো শাখা অফিসের সামনে বিজিবি সদস্যরা চেয়ার বসিয়ে আমদানি-রফতানিতে তদারকি কাজ শুরু করেন। এছাড়া একাধিকবার বন্দর এলাকায় তাদেরকে টহল দিতেও দেখা যায়। বিজিবি সদস্যদের হঠাৎ করে বন্দরে এমন পদক্ষেপের প্রতিবাদে কাস্টমস সদস্যরা কাজ বন্ধ করে দেন।

এর আগে বেনাপোল বন্দরের প্রধান আমদানি-রফতানি পণ্য ঢোকার দু’টি ফটকে বিজিবি চেকপোস্ট বসিয়ে বন্দর ও কাস্টমসের পাশাপাশি তদারকি কার্যক্রম করে আসছেন। এদিকে, বিজিবি কাস্টমস যৌথ তদারকির বিষয়ে দ্রুত একটা সিদ্ধান্তে না পৌঁছালে পরস্পরের মধ্যে সম্পর্কের অবনতির আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমস কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা (সুপারেন্টেন্ড) হারুনর রশিদ বলেন, আমদানি- রফতানি বাণিজ্যে বিজিবির তদারকির বিষয়ে কাস্টমসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে তারা অফিস বন্ধ রেখেছেন।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহাসিন মিলন বলেন, বিষয়টি নিয়ে বিকেলে কাস্টমস কর্মকর্তাদের সঙ্গে ব্যবসায়ীরা আলোচনায় বসবেন। আশা করছি, সেখানে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে দ্রুত বাণিজ্য সচল হবে।

৪৯ ব্যাটালিয়ন বর্ডার গার্ড বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফুল হক জানান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি বৈঠকে দেশের সবকয়টি বন্দরে পণ্য পরিমাপের স্কেলে কাস্টমস সদ্যদের পাশাপাশি বিজিবি সদস্যরা যৌথভাবে কাজের সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়েছে। ওই আলোচনায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, রাজস্ব বোর্ড, কাস্টমসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বিভাগীয় কমিশনাররা উপস্থিত ছিলেন। তারা সবাই সম্মতি দিয়েছেন। তার পরিপ্রেক্ষিতে বিজিবি সদস্যরা বন্দরে কাজ করছেন।

এদিকে,কাস্টমস কার্গো অফিস বন্ধ থাকায় বেনাপোল বন্দর সড়কে মারাত্মক পণ্যজট সৃষ্টি হয়েছে। এতে দুর্ভোগ বেড়েছে পথচারীদের। বেনাপোল বন্দরে ঢোকার অপেক্ষায় আটকা পড়া ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে প্রায় পাঁচ শতাধিক ট্রাক।পচনের ভয়ে পণ্য নিয়ে বিপাকে পড়েছেন পন্য ব্যবসায়ীরা।

সন্তোষজনক আলোচনার মাধ্যমে বাণিজ্য সচল হয়ে আমদানি রফতানি চালু হবে এমনটাই আশাবাদ করছেন তারা। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিভিন্ন সংস্হার কর্মকর্তাদের নিয়ে কাস্টস হাউজে আলোচনা চলছিলো।