ভোলার ইলিশা ফেরী ঘাটে এখন ভাটায় চলে যানবাহন উঠা-নামা

ভোলা প্রতিনিধিঃ কয়েকদিন থেকেই জোয়ারের পানিতে ঘাট তলিয়ে যাওয়ার কারনে ভোলা-লক্ষীপুর রুটে ফেরী চলাচলে মারাত্মক বিঘেœর সৃষ্টি হচ্ছে। জোয়ারে পানিতে কোন যানবাহন উঠা-নামা করতে না পারায় উভয় পাড়ে যাববাহনের দীর্ঘ জটের সুষ্টি হয়েছে। এতে উভয় পাড়ে আটকা পড়েছে ৩ শতাধিক যানবাহন।

পরিবহন শ্রমিকদের অভিযোগ, অপেক্ষাকৃত নিচু স্থানে ঘাট স্থাপন এবং হাই ওয়াটার ঘাট নির্মান না করায় জোয়ার এলেই এপ্রোস সড়ক ও র‌্যাম তলিয়ে যায়। এতে ফেরী থেকে কোন যানবাহন উঠা-নামা করতে পারে না। তখন ঘাটে ভাটার জন্য ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করতে হয়।
ঈদে যাত্রী ও পরিবহন চাপ বেড়ে গেলেও কোন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ যাত্রীদের।

দ্বীপজেলা ভোলার সাথে দেশের দক্ষিন পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার যোগাযোগের সহজ মাধ্যম ভোলা-লক্ষীপুর ফেরী সার্ভিস। এ রুট দিয়ে প্রতিদিন শত শত যানবাহন যাতায়াত করে। কিন্তু গত কয়েকদিন থেকে মেঘনার অতি জোয়ারে তলিয়ে যাচ্ছে ফেরীর এপ্রোস সড়ক ও র‌্যাম।

এতে ৪/৫ ফুট পানিতে তলিয়ে থাকায় জোয়ারের সময় কোন যানবাহন ফেরীতে উঠা-নামা করতে পারেনা। যারফলে গড়ে ৩/৪ঘন্টা ঘাটেই ভাটার জন্য অপেক্ষা করতে হয় যানবাহনগুলোকে। এতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয় পরিবহন শ্রমিক, মালিক ও সাধারন যাত্রীদের।

প্রতিদিন জোয়ারের কারনে ফেরী চলাচল বন্ধ থাকায় উভয় পাড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। গুরুপ্তপূর্ন ইলিশা ফেরীঘাটে লো ওয়াটার ঘাট নির্মান করা হলেও দীর্ঘদিনেও স্থাপিত হয়নি হাই ওয়াটার ঘাট। যে কারনে ডুবে যায় ঘাটটি। এতে নির্ধারিত সময়ে পরিবহন পারাপার হতে না পারায় ঘাটেরই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন কাচামাল।

লোকসান গুনতে হয় ব্যবসায়ীদের। তবে বিআইডটিএ টার্মিনাল এসিস্টেস্ট আবুল বাশার জানালেন বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জাননো হয়েছে। আসছে কোরবানী ঈদের আগেই ঘাটের সমস্যার সমাধান চান এ অঞ্চলের যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকরা।